কোয়ারেন্টিনে ধর্ষণ: এএসআই মোখলেসুরকে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মহিলা পরিষদ খুলনা জেলার স্মারকলিপি প্রদান

0
203
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত থেকে আসা কোয়ারেন্টিনে তরুনীকে ধর্ষণকারী  পুলিশের এ এস আই মোখলেসুর রহমানের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ খুলনা জেলার পক্ষ থেকে মোখলেছুর রহমানের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনার খুলনা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্বারকলিপিতে বলা হয় যেখানে তরুণী কোভিডের ভয়াবহতা হতে রক্ষা পেতে সরকারি নিরাপত্তা গ্রহনের মাধ্যমে নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশ হেফাজতে আশ্রয় গ্রহন করেন। সেখানেই দায়িত্বপ্রাপ্ত রক্ষক পুলিশ এর এএসআই মোখলেছুর রহমানের কাছে গত ১৪ই মে নির্মমভাবে নির্যাতন ও জোর পূর্বক ধর্ষণের শিকার হন। আত্মসম্মানের ভয়ে গত ১৮ই মে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
মেডিকেল পরিক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে কিন্তু মামলার এজাহারে অসঙ্গতি স্পষ্ট। বাংলাদেশের আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর পুলিশী হেফাজতে থাকা অবস্থায় জোর পূর্বক ধর্ষণ করা হলে এজাহারে ৯(১) অনুযায়ী মামলাটি রজু করতে হবে। কিন্তু বাদি’র খুলনা থানায় এজাহারে ৯(৫) ধারায় মামলা করা হয়েছে। কম শাস্তি হয় সেইজন্য থানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত ৯(৫) ধারায় চার্জসীট তৈরি করেছেন যাতে করে ধর্ষণের পরিবর্তে পুলিশী হেফাজতে নির্যাতন বুঝাচ্ছে। যার শাস্তি কয়েক বছরের জেল এখানে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি হবে না চার্জসীট অনুসারে। এতে করে বাদী বিচার পেলেও ন্যায় বিচার পাবেন না। তার ন্যায় বিচারের দাবিতে ধর্ষক মোখলেছুর রহমানের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনার খুলনা বরাবর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ খুলনা জেলার পক্ষ হতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উক্ত স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ খুলনা জেলার আহবায়ক অধ্যক্ষ দেলওয়ারা বেগম,যুগ্ম আহবায়ক অজন্তা দাস,অর্থ সম্পাদক ইসরাত আরা হীরা, সদস্য খাদিজা কবীর তুলী,এ্যাডঃ পপি ব্যানার্জী,কৃষ্ণা দাস প্রমূখ।