কেসিসি নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি ইসির

0
780

নিজস্ব প্রতিবেদক :

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান পরিষদের মেয়াদ চার বছর উত্তীর্ণ হচ্ছে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর। প্রথম সাধারণ সভার সময়সূচি আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনা চলছে। ২০১৪ সালের ১৫ জুন কেসিসি’র চতুর্থ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করে শুরু করেছে প্রচার-প্রচারণাও। তবে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত ২১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এক চিঠিতে কেসিসি’র প্রথম সভার তারিখ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠিতে মেয়াদপূর্তির তারিখও জানাতে বলা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে কেসিসি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসের সূত্র জানায়, সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। কর্পোরেশন এলাকার দু’টি থানায় ভোটার তালিকার হালনাগাদকরণ চলছে। সর্বশেষ নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা ছিল চার লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন। ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৮টি কেন্দ্রে এক হাজার ৪২৮ বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই সূত্র জানায়, সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি এক লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা আ’লীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রাপ্ত ভোট ছিল এক লাখ ১৯ হাজার ৪২২টি।
কেসিসি’র রেকর্ড অনুযায়ী, বর্তমান পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে আজ চার বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের ছয় মাস আগে তফসিল ঘোষণার বিধান রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে টেস্ট কেস হিসেবে দেখছে সরকার। আর এজন্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আ’লীগ। পাশাপাশি কোন্দল মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে মনোনীত প্রার্থীর জন্য কাজ করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
আ’লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেদিন একাধিক সিটি কর্পোরেশনে মেয়র প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ শুরুর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, কেসিসি’র মেয়র প্রার্থী পদে পরিবর্তন আসতে পারে। কর্পোরেশন নির্বাচনে আ’লীগের গতবারের মেয়র প্রার্থী ছিলেন তালুকদার আব্দুুল খালেক। সেখানে এবার তার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই (শহিদ শেখ আবু নাসেরের ছেলে) শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের নাম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় সর্বমহলে। তবে আগাম প্রচারণা চালাচ্ছেন সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাওলানা মুজাম্মিল হককে এবং জাতীয় পার্টি এস এম মুশফিকুর রহমানকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিএনপি’র সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। জেলা বিএনপি’র সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা মেয়র পদে প্রার্থী হবার লক্ষ্যে নগরবাসীকে অবহিত করতে ৩১টি ওয়ার্ডে পোস্টারিং করেছেন।