কেশবপুর পৌর শহরে দোকান ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টা

0
185

কেশবপুর প্রতিনিধি:
কেশবপুর পৌর শহরের মাইকেল মোড়ে ব্যক্তিমালিকানা জমির উপর নির্মিত দোকান ঘর ভেঙ্গে জমি দখল করে জোর পূর্বক চলাচলের রাস্তা বের করে নেয়ার চেষ্টা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আলমগীর কবীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের আলতাপোল ৭১ নং মৌজার সাবেক ৩২৬ দাগের ৬৩ শতক পৌতৃক সৃত্রে প্রাপ্ত জমির মধ্যে রাস্তা সংলগ্ন ৬৯ ফুট জমি কামরুল ইসলাম মনিরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, কালাম, রশিদা খাতুন, সালেহা খাতুন ও জাহাঙ্গীর আলম দোকান ঘর নির্মান করে ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমির রাস্তা সংলগ্ন ৩৯ ফুটসহ পিছনের অংশের জমি কামরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামানের নিকট থেকে হাসেম আলী, প্রভাত কুমার মল্লিক, মুনসুর আলী ক্রয় করেন। শরীকের জমি বন্টনের সময় পিছনের বসবাসকারী ও পাশ্ববর্তী জমি থেকে যশোর সাতক্ষীরা সড়কে বের হবার রাস্তা না থাকায় উভয় জমির মালিক সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে উভয়পক্ষ ৯ ফুট জমি দিয়ে একটি রাস্তা মৌখিক ভাবে বের করা হয়। পরবর্তীতে লিখিতভাবে হাসেম আলী, কামরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান ও আলমগীর কবির সেচ্ছায় ৯ ফুট রাস্তা যশোর সাতক্ষীরা সড়ক থেকে জমির পূর্ব মাথা পর্যন্ত সকলের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। জমি বিক্রি করার সময় কামরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামান রাস্তা না রেখেই বিক্রি করে দেন। হাসেম আলী রাস্তা সংলগ্ন জমি ক্রয় করে তার জমিতে রাস্তা না রেখেই কৌশলে বসত ঘর নির্মান করেন। যার ফলে ওই জমির পিছনের অংশের জমির মালিকদের বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় জমির মালিকরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় আলমগীর হোসেন, রশিদা খাতুন ও সালেহা বেগমের জমির উপর নির্মিত দোকান ঘর ভেঙ্গে রাস্তা নির্মানের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। একদল সন্ত্রাসী প্রভাবিত হয়ে দোকান ঘর ভেঙ্গে নিতে হুমকি দিয়ে চলেছে। এবিষয়ে আলমগীর হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আলমগীর কবির বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিটি শরীকানা হওয়ায় তারা ৬ ফুট ও আমরা ৩ ফুট জমি দিয়ে রাস্তা নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতের তারা রাস্তার জমি না ছেড়ে বিক্রি করে দেয়। যারা ক্রয় করে তারাও রাস্তার জায়গা না রেখে ফ্লাট বাড়ি নির্মান করেন। এখন যাতায়াতের সমস্যা হওয়ায় আমার জমির উপর দোকান ঘর ভেঙ্গে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান করার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশকে নিদর্শেনা প্রদান করা হয়েছে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।