কেজিদরে টাকা!

0
595

আফ্রিকার স্বঘোষিত ছোট্ট দেশ সোমালিল্যান্ড। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, দেশটিতে কেজিদরে বিক্রি হয় টাকা। টাকাগুলো নকল নয়, একেবারে আসল টাকা।
খোলা রাস্তায় দিনদুপুরে ক্রেতারা বিনিময় করে নিয়ে যান রাশি রাশি নোট। এ রকম বাজার গড়ে ওঠার পেছনে সোমালিল্যান্ডের আর্থিক কাঠামোই দায়ী। এখানকার মুদ্রাকে বলা হয় ‘শিলিং’। শিলিংয়ের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
২০০০ সালে এক ডলারের ছিল ১০ হাজার শিলিংয়ের কাছাকাছি। ২০১৭ সালেও প্রথমদিকে ৯ হাজার শিলিংয়ের সমান ছিল এক ডলার। তাই ডলার বা ইউরোর নিরিখে সামান্য খরচ করলেই পাওয়া যেত কয়েক কেজি নোট! যা নিতে বস্তা বা ঠেলাগাড়ির প্রয়োজন হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনতে গেলেও টাকার বস্তা নিয়ে বের হতে হয় এখানে। শিলিংয়ের এমন মূল্যহীনতার কারণেই সোমালিল্যান্ডের টাকার গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। টাকার দাম এখানে এতই কম- এ টাকার বাজারে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেই। এমনকি ছিনতাইকারী-চোর-ডাকাতেরও আগ্রহ নেই এই শিলিং ছিনিয়ে নেয়ার। তাই ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে টাকা। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সোমালিল্যান্ড দেশটি ‘ডলারাইজড’ হচ্ছে। চালু হয়েছে মোবাইল মানিও। এক বছরেই মোবাইল মানির ব্যবহার ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের দাম ৫৮১ শিলিংয়ের কাছাকাছি। তথ্য সূত্র: অনলাইন ডেস্ক