কুল্যায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পথে বেড়ার দেওয়ার অভিযোগ

0
199

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বসতবাড়িতে যাতয়াতের পথে ঘেরা বেড়া দিয়ে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুল্যা গ্রামের আলাউদ্দীন সরদারের পুত্র ফয়সাল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের হোসেন আলী সরদারের পুত্র আবুল কাশেম, লুৎফর রহমান (লুথা) ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিবাদী করে দাখিলকৃত অভিযোগে জানাগেছে, অনুমান ২৮ বছর পূর্বে হোসেন আলি ও সূর্য বিবির নিকট হতে তার নানা মৃত শেখ সামছুর রহমান ৩৭ শতক জমি ক্রয় করেন। কুল্যা মৌজায় এসএ ৩৮৬ ও ৩৮৭ খং, সাবেক ১৬৪২ ও ১৬৪৩ দাগে এবং হাল ২০৪১ দাগে ঐ জমিতে সেই থেকে ঘরবাড়ি বেধে, গাছগাছালি লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছেন তারা। বিবাদীরা নিত্যান্ত গায়ের জোরে জমি জবর দখলের চেষ্টা করলে তারা গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিমংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মানেনি। ৪/১০/১৮ তাং ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে নিয়ে আপোষ মীমাংসা করে দেন। একিট লিখিত মীমাংসাপত্র সহি সম্পাদন করা হয় কিন্তু মীমাংসা অমান্য করে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালাতে থাকলে বাধ্য হয়ে তার মাতা রানী বেগম বাদী হয়ে দেং ৯৪/১৯ তাং ২৭/১০/১৯ রুজু করেন। বিজ্ঞ আদালত “— শুনানী না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হইল।” মর্মে আদেশ প্রদান করেছেন। তারপরও বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিবাদীরা জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং গত ৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিবাদীরা লাঠি, দা, শাবল নিয়ে তাদের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের একমাত্র চলাচলের পথ বাঁশের রেলিং, কঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরতে থাকে। রানী বেগম ও ফয়সাল বাধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকী দেয়। এছাড়া পথের পাশেই প্রতিপক্ষের ল্যাট্রিনের ময়লা তাদের প্রাচীরের পাশে ফেলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। ল্যাট্রিনের হাউজ থেকেও ময়লা ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টি থানায় অভিযোগ করা হলে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারা পুনরায় ২৪ নভেম্বর ও ২০ ডিসেম্বর আবার তারা আদালত ও থানা পুলিশকে অবজ্ঞা করে ঘেরা বেড়া দিতে যায়। বিষয়টি আবারও থানাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। ইতপূর্বেও তাদের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে পথ বন্ধ করা হয়েছিল। অসহায় স্বামী ও পিতা হারা রানী বেগম ও তার পুত্র চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে তারা চরম ভাবে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।