কাল্পনিক ছিনতাই মামলায় সাংবাদিক নজরূল ইসলামের ২০ টাকার বেলবন্ডে জামিন

0
498

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, তালা প্রেসক্লাব সভাপতি ও তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এস. এম নজরুল ইসলাম
কাল্পনিক ছিনতাই মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের প্রায় একঘন্টা শুনানীঅন্তে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক রাজীব কুমার রায় ২০ টাকার বেল বন্ডে জামিনের আবেদন মজ্ঞুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তালা থানার আটারই গ্রামের জৈনিক আলাউদ্দিন আদালতে সাজানো একটি ৮৫ হাজার টাকা ছিনতাই মামলা দাখিল করেন। মামলার বিজ্ঞ বিচারক মনিরা জাহিদ নিশা মামলাটি গ্রহণ করে ওসি তালা থানাকে তদন্তপূর্বক
প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসিরউদ্দীন গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার স্বাক্ষীগণের জবানবন্দি রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি মর্মে বিজ্ঞ আদালতে একটি আবগতি পত্র প্রদান করে সময় প্রার্থনা করেন। একই তদন্তকারী কর্মকর্তা এইআই নাসিরউদ্দীন ১২ সেপ্টেম্বর তারিখ উল্লেখ করে একটি অসত্য ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
যার পেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত কথিত আসামি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এবং অপর তিনজন আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

গত সোমবার বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার রায় আমলি আদালত-৩ স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। জামিন শুনানীকালে বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল মজিদ আদালতকে অবহিত করেন যে, কথিত আসামী এসএম নজরুল ইসলাম তিনি তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান কর্তৃক প্রদত্ত
সনদপত্র, গত আর্থিক বৎসরের প্রায় চার লক্ষ টাকা ট্রাক্স প্রদানের প্রমাণপত্র, প্রায় তিন কোটি টাকার সরকারি ঠিকাদারি কার্যক্রম চলমানের প্রমাণপত্র, নিজস্ব ব্যাংক হিসেবের লেনদেন ও ব্যাংক স্থিতির প্রমাণপত্র, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আধ্যাতিœক সাধক এজাহার আলী স্মৃতি মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমাণপত্র, দৈনিক পূর্বাঞ্চল, খুলনা পত্রিকায় ২৭ বছর সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র, কথিত মামলার বাদীর মানিত কথক স্বাক্ষীদের ভূয়া মামলা হিসেবে এভিডেভিট প্রমাণপত্র এবং বাদীর পিতা আদালতে উপস্থিত
হয়ে বাদী কর্তৃক তার নাবালক-নাবালিকা ভাতিজা-ভাতিজির সম্পত্তি সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আতœসাৎ করতে ব্যার্থ হয়ে মামলা করার প্রমাণপত্র আদালতে ফিরিস্থি সহকারে উপস্থাপন করেন।

এ সময় আদালত উভয়পক্ষের শুনানীঅন্তে বিজ্ঞ বিচারক ষড়যন্ত্রমূলক কাল্পনিক মামলা উপলব্ধি করে তিনি কথিত আসামী সাংবাদিক এস.এম নজরূল ইসলামকে ২০ টাকার বন্ডে জামিন মজ্ঞুর করেন।

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ সি: আইনজীবী আব্দুল মজিদ, এ্যাড. আশরাফ হোসেন, এ্যাড. সবুজ, এ্যাড. আশরাফুজ্জামান, এ্যাড. অনিত কুমার ্মুখার্জি, এ্যাড. তারকনন্দি, এ্যাড. পিয়ারুল ইসলামসহ ১০জন আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ জানান, দীর্ঘক্ষণ শুনানীঅন্তে মামলাটি মিথ্যে ও সাজানো বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক কথিত আসামী এসএম নজরুল ইসলামকে ২০ টাকার বেলবন্ডে জামিন মজ্ঞুর করে বিচার বিভাগের একটি দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন। এসময় বাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত
ছিলেন।