সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেছেন, কারো বাঁশির হুইশালে রাতারাতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ’৫২ থেকে তীলে তীলে গড়ে উঠা আন্দোলন ’৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। বাঙালির অধিকার ফিরিয়ে আনতে লক্ষ লক্ষ প্রাণ এবং মা-বোনের ইজ্জত উৎসর্গ করতে হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুকে সারাটি জীবন কাটাতে হয়েছে কারাভ্যন্তরে। তিনি আরো বলেন, সদ্য স্বাধীন প্রাপ্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু যখন ঢেলে সাজাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাঁকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। আর এই হত্যার প্রধান কুশিলব ছিলো মেজর জিয়াউর রহমান। তার নিদের্শনায় আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক রশিদ, ডালিম, শাহরিয়ার, মোস্তকগণরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এই হত্যার পরপরই জিয়াউর রহমান মার্শাল ’ল জারি করে নিজে ক্ষমতায় আসীন হয়। ক্ষমতায় বসেই জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনী আর ’৭১ এর রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা করে দেয়। তাদেরকে বিভিন্ন দেশে রাষ্টদূত বা উচ্চপদে প্রমোশন দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এই বিজয়ের মাসে আগামী প্রজন্মকে বাঙালির সঠিক ইতিহাসটি জানাতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা দলের মধ্যে এসে নানা ধরনের অসাংগঠনিক কর্মকা- করছে তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারীরা দলের ভেতরে ঢুকে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে, তাদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং থানার সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হায়দার আলী, শ্যামল সিংহ রায়, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, তসলিম আহমেদ আশা, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, আলী আজগর মিন্টু, এ কে এম শাহজাহান কচি, এস এম শামসুদ্দিন আহমেদ শ্যাম, এ্যাড. আহসান হাবীব, সমীর কৃষ্ণ হীরা, শাহ মো. জাকিউর রহমান জাকির, মাহমুদ হাসান তাজু, হাবিবুর রহমান দুলাল, গাজী মোশাররফ হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, মো. শিহাব উদ্দিন, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, আলহাজ্ব এশারুল হক, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, খোকন রায় দিলীপ, শেখ হারুন মানু, সেলিম মুন্সি, আব্দুল কাদের, ফয়েজুল হক রুবেল, এ্যাড. জহিরুল ইসলাম পলাশ, প্রকৌ. আল মামুন চৌধুরী, খান মো. কবীর হোসেন, হুমায়ুন কবীর, মো. তাজুল ইসলাম, মো. রিয়াজ হোসেন, রুহুল আমিন, মো. মোক্তার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, কনিকা সাহা, জিয়াউর রহমান জিয়া, আউয়াল হোসেন ছোটন, হিরু তালুকদার, শওকত হোসেন খোকন, মো. লিখন খান, উজ্জল কুমার রায়, মনিরুল ইসলাম সোহাগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।#