কাউন্সিলর সুলতানের কাছে বন্দর ওলামা পরিষদ’র স্মারকলিপি পেশ

0
590

প্রতিনিধি : জঙ্গী সালাউদ্দিনের চাচা বিল্লাল ও কথিত উগ্রপন্থী মাওলানা সাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে নাসিক’র ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বন্দর উপজেলা ওলামা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোঃ কবির হোসেনের নেতৃত্বে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে ওই স্রকলিপি পেশ করা হয়। নেতৃত্বদানকারী কবির হোসেন ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লক্ষণখোলা মাহমুদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আবুল কাশেম,বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ শাহজালাল,কলাবাগ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মোঃ রিয়াজুল হক,বন্দর শাহী মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ইসমাঈল হোসেন, হাফেজীবাগ কবরস্থান জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ হাদিউজ্জামান,২নং মাধবপাশা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোঃ মোসলেহউদ্দিন,নয়ানগর বাইতুল আতিক জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদুল হাসান,বাড়ইপাড়া বাইতুল হাবিব জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি জহির বিন সুলতানসহ অন্যান্য মাওলানা ও ওলামায়ে কেরামগণ। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, মুফতি জাকির হোসেন কাশেমী ১৯বছর ধরে বন্দর বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালণ করে আসছেন। ইদানীং কতিপয় উগ্রপন্থী যুবক কথিত মাওলানা সাদের অনুসারী হয়ে তাবলীগের নামে কয়েক মাস ধরে বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। প্রকাশ থাকে যে,ষগযন্ত্রকারী বাদল,হীরা,ওয়াহিদ,হাবিব এবং জঙ্গী সালাউদ্দিনের চাচা বিল্লাল গং বিগত ৩আগষ্ট মসজিদের বাতি,ফ্যান ব্যবহার করে তারা গভীর রাত পর্যন্ত গোপন বৈঠক করেছে। বিষয়টি জাকির হোসেন কাশেমী বিশ^স্ত সূত্রে জানতে পেরে তাদেরকে বাধা দিলে উল্লেখিতরা তাকে গালমন্দ করে। শুধু তাই নয এর জের ধরে বিল্লাল গং জনৈক মুসল্লীকেও মারধর করে। জাকির হোসেন কাশেমী কোন রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত নন এবং জুম্মার বয়ানে কোরআন হাদিস বিরোধী কিংবা কোন দলাদলির বক্তব্য দেননা। প্রয়োজনে বিগত দিনের রেকিিডং পর্যালোচনা করলেই এর প্রমান মিলবে। পরিতাপের বিষয় হলো উগ্রপন্থীররা এত অন্যায় স্বত্ত্বেও মুফতি কাশেমীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই বেমানান। আমরা ষড়যন্ত্রকারীদৈর বিরুদ্ধে তদন্তপূুর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি।