কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্পকে ধবংস করতে সোনালী ব্যাংক খুলনার জি এম কর্তৃক মিথ্যা প্রপাগন্ডায় উদ্বেগ বিজেএ’র

0
1146

ফকির শহিদুল ইসলামঃ
দির্ঘদিন যাবত খুলনার সোনালী ব্যাংক নতুন ঋণ গ্রহণ কাঁচাপাট রপ্তানীকারকদের কঠিন শর্ত আরোপ করে । আর এই কঠিন শর্তের কারনে কাঁচাপাট রপ্তানীকারকরা চলতি পাটের ভরা মৌসুমে পাট ক্রয় করতে পারেনি । ফলে দেশের কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত কাঁচাপাটের মূল্য ব্যাপক দরপতন হয় । রপ্তানীকারকদের ব্যাংক ঋণের অর্থ ছাড় না হওয়ায় কৃষকের পাট উৎপাদনের খরচের চেয়ে বিক্রয় মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় । পাটের ভরা মৌসুমে পাট ক্রয় প্রতিযোগিতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয় । এ অবস্থার জন্য ব্যাবসায়ীরা খুলনা সোনালী ব্যাংকের জিএম মোশারফ হোসেনকে দায়ি করেন । কাঁচাপাট রপ্তানীকারকদের সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই কয়েকদফা বিদেশে কাঁচাপাট রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় কাঁচাপাট রপ্তানীকারকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মূখে পড়ে । দেশের কাঁচা পাট রপ্তানির রাজধানী হচ্ছে খুলনার দৌলতপুর। আর দৌলতপুরের কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের সিংহভাগই হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের ঋণ গ্রহিতা। সোনালী ব্যাংক নতুন ঋণ গ্রহণ রপ্তানীকারকদের কঠিন শর্ত আরোপ করে। আর এই কঠিন শর্তের কারনে কাঁচাপাট রপ্তানীকারকরা চলতি পাটের ভরা মৌসুমে পাট ক্রয় করতে পারেনি । ফল চলতি অর্থ বছরে কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্পে নেমে আসে বির্পযয় । কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্প নেমে আসা বির্পযয়ের কারনে এ শিল্পের সাথে জড়িত জুট প্রেস শ্রমিক,পাট উৎপাদনকারী,সরবরাহকারী,পরিবহন,হ্যান্ডলিং,লোড আন লোডসহ ব্যাকওয়ার্ডে লিংকেজ জড়িতরা । তাদের কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন । জাতীয় পাট দিবসে ঢাকা কৃষিবিদ অডিটোরিয়ামে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পাটকে কৃষি ভিক্তিক শিল্পের পাশাপাশী এ শ্রমঘন শিল্পকে দেশের প্রতিবন্ধী শিল্পে হিসেবে আখ্যায়িত করেন । তিনি আরও বলেছেন পরিবারের কোন প্রতিবন্ধী শিশু থাকলে যে ভাবে যত্ন নেয়া হয় ঠিক সেইভাবে দেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে জরিত বাংলার সোনালী আষঁ পাট শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান ।
প্রধানমন্ত্রীর এই বাস্তবমূখি ঘোষনার ফলে কৃষকরা পাট উৎপাদনে আরো বেশি উৎসাহ পাওয়ার পাশাপাশী কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্পে গতি ফিরে আসবে এমন সম্ভাবনায় পাট ব্যাবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে স্বাগত জানান । পাটের মৌসুম শুরু হলে কাঁচাপাট রপ্তানীকারকরা নতুন ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব সোনালী ব্যাংকে জমা দিলে বাধে বিপত্তি । খুলনা সোনালী ব্যাংকের জিএম মোশারফ হোসেন ঋণ গ্রহণ রপ্তানীকারকদের কঠিন শর্ত আরোপ করেন । আর এর ফলে সোনালী ব্যাংকের কঠিন শর্তের ব্যাড়াজালে আটক পড়েন কাঁচাপাট রপ্তানীকারকরা । কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের সিংহভাগই সোনালী ব্যাংকের ঋণ গ্রহিতা। বাংলাদশ জুট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারী অর্থমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি কাঁচা পাট রফতানিকারকদের সকল বকেয়া এবং দেনা একটি সুদবিহীন ব্লক হিসাবস্থিতি পূর্বক ১০ শতাংশ সহায়ক জামানতের ভিত্তিতে ২৫ বছর পরিশোধের সুযোগ দাবি করেন। এই আবদনের সূত্র ধরে সংসদ সদস্য সাবক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানসহ বিজেএ’র নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে তাদের দাবির স্বপক্ষে নানা যুক্তি প্রদর্শন করার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন । সে প্রেক্ষিতে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ব্যাবসায়ীদের দুরবস্থার বিষয়টি গুরত্ব দেন । তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রয়াজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন সরকারের উচ্চচ পর্যায়ে দেনদরবার শুরু করেন । বেগম মনুজান সুফিয়ান এমপির নিরলস প্রচেস্টায় ঢাকার একটি ক্লাব অর্থমন্ত্রী ও পাট প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কাঁচাপাট রপ্তানীর বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের দাবী জানানো হয়। ব্যাবসায়ীদের দাবীর সমর্থন একাত্মতা প্রকাশ করেন পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ওই সভায় পাট প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন বিদেশে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। মির্জা আজম তার বক্তব্য ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী পাট ব্যবসায়ীদের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন, বলেছেন আপনাদের ঋণ মওকুফ করতে না পারলেও আপনাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একটি প্যাকেজ দিছি। এই প্যাকেজের আওতায় আপনারা পাট ব্যাবসার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং পাশাপাশি ঋনের সুদের হার কমানো ও কাঁচাপাট রপ্তানীকারকদের সহজ শর্ত দীর্ঘ মেয়াদ ঋণ দেয়ার আশ্বাস দেন। সেই সভায় অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবমূখি পদক্ষেপ গ্রহন করেন । সেই মতে সানালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের জেনারল ম্যানেজার খায়রুল কবীর ডেপুটি জেনারল ম্যানেজার গোলাম নবী মলি­ক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ব্যাংকের ঋণ গ্রহিতাদের কোনা ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই দুই বছর সময় দেওয়া হয় । দুইবছর পর থেকে রপ্তানীকারকরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে। এসব ঋণ গ্রহিতারা পুনরায় নতুন ভাবে ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাবে। এই চিঠির ফলে সোনালী ব্যাংকের পূর্বের নেওয়া সকল পদক্ষেপ স্থগিত হয়েছে । জারি করা গত ২৬ আগস্ট অফিস আদেশ উল্লে­খ করা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাকিং, ব্যাকিং প্রবিধি, প্রধান কার্যালয় ঢাকা এর ০২-০৫- ২০১৭ তারিখ বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং ০৩ এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়,ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, নীতি ও আর্থিক প্রনোদনা শাখার ২৪-০৪-২০১৭ তারিখের স্বারক নং ৫৩০০০০০০৩৩১, ৩৬০০২-১৭ ,১০৯ এর নির্দেশনা ও পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৩১ জুলাই ২০১৭ অর্থ মন্ত্রনালয়র সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভার মতামত বিবচনায় কাচঁপাট রফতানিকারক ঋণগ্রহীতাদের পাট খাতে বিদ্যমান সমস্যা কাটিয়ে উঠে ব্যবসা চালু রাখার বিবেচনায় রেখে ব্যাংকের ঋণের বকেয়া পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২ আগষ্ট ২০১৭ তারিখ ৫৩৩তম সভায় পর্ষদ কর্তৃক নিমাক্ত নীতিমালা জারির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। অফিস আদেশ উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ , ব্যাকিং প্রবিধি, প্রধান কার্যালয় ঢাকা এর ০২-০৫- ২০১৭ তারিখ বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং ০৩ এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়,ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, নীতি ও আর্থিক প্রনোদনা শাখার ২৪-০৪-২০১৭ তারিখর স্বরাক নং ৫৩০০০০০০৩৩১, ৩৬০০২-১৭ ,১০৯ এর নির্দেশনা ও পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৩১ জুলাই ২০১৭ অর্থ মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভার মতামত বিবেচনায় কাচঁপাট রফতানিকারক ঋণগ্রহীতাদের পাট খাতে বিদ্যমান সমস্যা কাটিয়ে উঠে ব্যবসা চালু রাখার বিবেচনায় রেখে ব্যাংকের ঋণের বকেয়া পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২ আগষ্ট ২০১৭ তারিখ ৫৩৩তম সভায় পর্ষদ কর্তৃক নিমাক্ত নীতিমালা জারির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর ফলে কাঁচা পাট রপ্তানিকারকরা ব্যাংক ঋণ প্রস্তাব যে কঠিন শর্ত দিয়েছে সেই শর্তাবলী স্থগিত হওয়ায় নতুন ঋণ প্রস্তাব আর কোন জটিলতা নেই ।
এ পত্র খুলনা সোনালী ব্যাংকের পাওয়ার সাথে জিএম মোশারফ হোসেন ক্ষিপ্ত হন বলে জানিয়েছেন বিজেএ পরিচালনা পরিষদের সদস্য এফ এম সাইফুজ্জামান মকুল । সাইফুজ্জামান মকুল বলেন ,আমাদের বর্তমান সরকার ও খুলনা-৩ আসনর মাননীয় সংসদ সদস্য এবং কাঁচাপাট রপ্তানীকারকদের সম্মান হানীর কাজে লিপ্ত খুলনা সোনালী ব্যাংকের জিএম মোশারফ হোসেন । শুধু তাই নয় জিএম মোশারফ হোসেন গত ২২/২৩ অক্টোবর খুলনার স্থানীয় ও জাতীয় কিছু গন মাধ্যমে সাক্ষাতকার সরকারী আদেশের বিপক্ষে মন্তব্য করেন । যা সরকারী চাকরী বিধিমালা লংঘনের সামিল । বিজেএর সদস্য আরও বলেন, মোশারফ হোসেন এক সাংবাদিক দিয়ে রপ্তানীকারকদের নামে বিভিন্ন অসত্য তথ্য প্রকাশ করেন । বিজেএ মনে করে সরকার আমাদের শ্রমঘন এ কাঁচাপাট শিল্প টিকিয়ে রাখতে নানা মূখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, সেখান মোশারফ হোসেন একজন সরকার বিরাধী হওয়ার তিনি এ পাট শিল্পকে ধবংসের খেলায় মেতে উঠছন । তিনি আরও বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য গত ১-৭-২০১৭ তারিখ ডিও,পত্র নং-সভা/শ্রকম/বাজাসস/১০১/খু-৩/২০১৭/১০০ পত্রের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয় । সংসদ সদস্য’র অভিযোগ উল্লেখ করা হয়,আমি বিশ্বস্ত সূত্র জেনেছি যে সোনালী ব্যাংক খুলনা জোনের জিএম মোশারফ হোসেন বর্তমান সরকারের মতাদর্শে বিশ্বাসী নয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন করার জন্য সরকারী প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে আপনি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সকল ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা , উকিল নোটিস , নিলাম বিজ্ঞপ্তি সহ পাট শিল্পকে ধ্বংসে সকল ধরনের অসহযোগিতা ও প্রতিবন্দকতা অব্যাহত রেখেছে এবং ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি প্রদান করেছেন। ফল কাঁচাপাাট শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে বলে ওই ডিও লেটার পত্রে অভিযোগে উল্লে­খ করেন । এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে খুলনা সোনালী ব্যাংকের জিএম মোশারফ হোসেনের ব্যাবহৃত ০১৭১২২০৬৮৫১ নম্বরে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি ।
বাংলাদেশ জুট এসোসিয়শনের পরিচালক এফ এম সাইফুজ্জামান মুকুল বলেন, পাট শিল্পকে এগিয় নিতে এবং পাটের সুদিন ফেরাতে বর্তমান সরকার নানামুখি পদক্ষপ গ্রহণ করেছে। আমাদের কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্প যে সংকট দেখা দিয়ে ছিল সেই সংকট নিরসনে আমাদর সংসদ সদস্য ও সাবেক সফল প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নিরলস প্রচেস্টায় আমাদের কাঁচাপাট শিল্পের বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি । শুধু তাই নয়, পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় পাট শিল্পের সুদিন ফিরেছে । তিনি বলেছেন, এখন থেকে পাট উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষিপণ্য যেসব সুবিধা পায় তা পাটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। গত কয়েক বছর ধরে পাটের বহুমুখী ব্যবহারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় পাটের সুদিন ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান দেশের কাঁচা পাট রপ্তানি শিল্পের রাজধানী হচ্ছে খুলনার দৌলতপুর । আর এই দৌলতপুর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাঁচাপাট রপ্তানী করে বিপুল পরিমান বৈদাশিক মুদ্রা আহরন করা হয় । বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ৬০০-৭০০ কোটি টাকার কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমাদর কাঁচাপাট ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫ দেশের বাইরেও দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, আইভরিকোস্ট, অস্ট্রেলিয়াসহ ১২০টি দেশে এসব পণ্য রপ্তানি হয়।