কলারোয়ায় দোকান ঘর ভাঙ্গায় ব্যবসায়ীর হার্টষ্টোকে মৃত্যু

0
326

কলারোয়া প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলানোর ঘটনায় এক ব্যবসায়ী ষ্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। বুধবার সকালে নিহতের ভাই মিজানুর রহমান জানান-উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজারে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া প্রায় শত বছরের জমিতে ছোট ছোট দোকান ঘর করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সম্প্রতি আম্পানে তাদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দোকানে পানি পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে সেই দোকান ঘর পূনরায় ঠিক করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তির দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকতার হোসেন, সার্ভেয়ার সজল হোসেন ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মহাসিন হোসেন উপস্থিত হয়ে বিনা নোটিশে তাদের দু’ভাইয়ের দোকান ঘর ভেঙ্গে দেয়। এঘটনায় তার বড় ভাই হার্টষ্ট্রোক করে বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে নিজ বাড়ীতে মারা যান। তিনি আরো বলেন-তাদের রেকর্ডিয় জমির সামনের অংশে সরকারী জমি আছে যা তার বাপ-দাদারা প্রায় শত বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। তাদের বাড়ীতে যাতায়াতের এক মাত্র পথও ওই জমির সামনে দিয়ে। মৃতের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ও আলামিন জানান-চন্দনপুর ও গয়ড়া মৌজায় প্রায় ১একর ৫৮শতক জমি রয়েছে। যা সরকারের ১খতিয়ানের জমি। তারাও বহু বছর ধরে দোকান পাট করে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু তাদের কোন সমস্য হচ্ছেনা। হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই তাদের জমি থেকে দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হলো। দোকান ঘর বানানোর আগেও কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। দোকান ঘর বানানোর পরে কেন এই দোকান ভাঙ্গা হলো সেটার কোন কারণ তারা বলতে পারছেন না। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করছেন যে ১শ বছর ধরে ওই জমিতে তারা বসবাস করে আসছেন তাই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নামে বন্দোবস্ত বা ডিসিআর দেয়া হোক। এবিষয়ে চন্দনপুর ইউনিয়নের ভুমি কর্মকর্তা মহাসিন হোসেন জানান, সরকারী জমি তাদের দখলে থাকায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই বাজারের অন্যান্য সরকারি জমি দখল মুক্ত করা হবে। গয়ড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি জানান,দীর্ঘ বছর ধরে ওই জমিতে তারা দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা করে আসছেন। কি কারণে দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হলো তা তিনি বলতে পারনে না। তবে ওই বাজারে প্রায় ২শ’র মত দোকান ঘর রয়েছে। যা সরকারী খাস জমিতে রয়েছে। তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি খাস জমিতে বসবাসকারী দোকান মালিকদের স্ব স্ব জমিতে ডিসিআর দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।