কর প্রদানকে রাষ্ট্রীয় চর্চায় পরিণত করতে হবে : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

0
492

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আমরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। এদেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কর প্রদানকে একটি ন্যাশনাল প্রাকটিস হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আজ সকালে খুলনা অঞ্চলের সেরা করদাতা এবং কর বাহাদুর পরিবার সম্মাননা ২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বয়রাস্থ সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে কর অঞ্চল-খুলনা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ বছর কর অঞ্চল খুলনা তার অধিক্ষেত্রের খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং ১০টি জেলার ৭৭জন সেরা করদাতা এবং ১০ পরিবারকে কর বাহাদুর পরিবার সম্মাননা প্রদান করে

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার নির্দেশনার আলোকে প্রথমবারের মত প্রবর্তিত কর বাহাদুর পরিবার সম্মাননা প্রাপ্তরা হচ্ছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এম এ সালাম ও তার পরিবার, যশোর কোতোয়ালীর মোঃ সফিউর রহমান মল্লিক ও তার পরিবার, চুয়াডাঙ্গার মোঃ রকিবুল ইসলাম ও তার পরিবার, মাগুরার মোঃ রজব আলী মজনু ও তার পরিবার, সাতক্ষীরার মোঃ গোলাম রব্বানী ও তার পরিবার, নড়াইলের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ও তার পরিবার, কুষ্টিয়ার মোঃ মজিবুর রহমান ও তার পরিবার, ঝিনাইদহের ডাঃ দুলাল কুমার চক্রবর্তী ও তার পরিবার, মেহেরপুরের মোঃ আব্দুস সালাম ও তার পরিবার এবং বাগেরহাটের এ্যাডঃ মীর শওকাত আলী বাদশা ও তার পরিবার। পরিবারের সবাই কর প্রদান করেন এমন পরিবারকে এই কর বাহাদুর সম্মাননা প্রদান করা হয়।

একই সাথে প্রতি বছরের মত এবারও খুলনা সিটি কর্পোরেশনসহ প্রত্যেক জেলায় ৩জন সর্Ÿোচ্চ করদাতা, ২জন দীর্ঘ মেয়াদী, একজন সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুন (৪০ বছরের নীচে) পুরুষ এবং একজন সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করতাদা হিসেবে মোট ৭৭জনকে সেরা করতাদা সম্মাননাপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলাম তা আজও পূরণ হয়নি। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছে তা কেবল আর বক্তৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং লাভ করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আমরা দারিদ্য্র সীমাকে ৪৪% থেকে ২২% এ নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগামী মার্চের মধ্যে কোন বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন থাকবে না, স্যানিটেশনে আমরা প্রতিবেশি ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। তিনি সমবেত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ধরণের অসংখ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে আপনাদের মত জনগণের করের টাকায়। আপনারা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করপ্রদান করে রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে অবদান রাখছেন। আপনাদের এই অবদানকে রাষ্ট্র অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখে। তাই আপনাদের অবদানকে স্বাীকৃতি দিতে পেরে বাংলাদেশ সরকারও গর্বিত। এই স্বীকৃতি আপনাদের দায়িত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, আপনাদের এখন দায়িত্ব আশেপাশের লোকজনকে কর প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করা।

কর অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট(আপীল) কমিশনারেটের কমিশনার আব্দুল মান্নান শিকদার, কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কে এম অহিদুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান এবং খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মোস্তফা জিসান ভুট্ট। স্বাগত বক্তৃতা করেন যুগ্ম কর কশিনার মঞ্জুরুল আলম।

উল্লেখ্য গত ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় আয়কর মেলায় মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা যা গত বছরের তুলনায় ৫৬ লাখ টাকা বেশি। এসময়ে মোট রিটার্ন জমা পড়েছে ২৭৮১২টি এবং নতুন টিআইএন রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছেন মোট ১১৯৬ জন করদাতা।