করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন তালার ইউএনও

0
504

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা পালনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সর্বদা কাজ করে চলেছেন তালার ইউএনও মোঃ ইকবাল হোসেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে । জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিন্ম আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ছুটে চলছেন তিনি। করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে অসাধু বিক্রেতারা দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি করতে না পারে এ জন্য উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাজার মনিটারিং করছেন। ইতোমধ্যে পণ্যর দাম বেশী রাখায় কয়েকজন দোকানীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের নানা পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তালা ব্লাড ব্যাংক ও ১২টি ইউনিয়নের ২১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে নিয়ে সমন্বিতভাবে গ্রামে গ্রামে কাজ করে যাচ্ছেন ।স্বেছচ্ছাসেবকদের কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই মনিটারিং করছেন ।
রবিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার প্রবেশ মূখে তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন মাস্ক ও তালা বøাড ব্যাংকের অ্যাপ্রোন পরা কয়েকজন যুবক।রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সবার গতিরোধ করছেন তারা।সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। কোন প্রয়োজনে তিনি বাইরে এসেছেন।সব কিছু শুনে কাজ সের দ্রæত বাসায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যান, ইজিবাইক বা অন্যান্য যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করছিল দলটি। করোনা ভাইরাস ঝুঁকি রোধে সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে দোকানিদের সচেতন করার কাজ করছিলেন কয়েকজন তরুণ। এসময় তারা করোনাভাইরাসের কোন প্রতিকার ও প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিরোধের উপর জোর দিতে লিফলেট বিতারণ করছিলেন। যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে রাতদিন পরিশ্রম করছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই দঃসময়ে যারা নিজেদের কথা না ভেবে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ,তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে জানি। তবুও চালিয়ে যেতে হবে। দিনশেষে শুধুই ধন্যবাদ নিয়ে যেও। আবার পরের দিন কাজ শুরু করো।
এদিকে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে দেশের মানুষ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল। এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক,চা দোকানি, ভ্যানচলকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। ফলে খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে তাদের। রবিবার (২৯ মার্চ) রাতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হওয়া অসহায় দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি সহায়তা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি কর্মহীন দরিদ্র ব্যক্তিদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছি। যাতে করে কাউকে ঘর থেকে বের হতে না হয়।’এমন পরিস্থিতিতে সরকারে পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।