কমল হাসানের বিস্ফোরক মন্তব্য হিন্দি ভাষা নিয়ে

0
346

খুলনাটাইমস বিনোদন: হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফের মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসান। এবার হিন্দিকে ডায়াপার পরা শিশুর সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন অব লয়োলা কলেজ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন ‘মাক্কাল নিধি মাইয়াম’ দলের প্রধান। কমল হাসান বলেন, হিন্দি ভাষা ডায়াপার পরা একটি শিশুর মতো। তামিল, সংস্কৃত ও তেলেগুর সঙ্গে তুলনা করলে হিন্দির বয়স এখনো অনেক কম। উপহাস করে বলছি না। প্রতিটি ভাষার প্রতিই আমাদের যতœবান হতে হবে। কিন্তু তা জোর করে চাপিয়ে দিয়ে নয়। ভারতের সরকারি দাপ্তরিক ভাষা হিন্দি ও ইংরেজি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২২টি রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির কোনো জাতীয় ভাষা নেই। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় হিন্দি দিবস উপলক্ষে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার দাবি করেন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি লেখেন, হিন্দি ভাষাই ভারতের ঐক্য ধরে রাখতে পারে। কারণ, বহু ভাষাভাষির এই দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ কথা বলেন এই ভাষাতেই। ভারতের সব ভাষারই ‘স্বাতন্ত্র্য, বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য রয়েছে’ স্বীকার করলেও বিজেপি সভাপতি বলেন, বিশ্বে ভারতের পরিচিতির জন্য নির্দিষ্ট একটি ভাষা খুব প্রয়োজন। দেশের কোনো ভাষা যদি ভারতের ঐক্য ও সংহতি অটুট রাখতে পারে, তবে তা বহুপ্রচলিত হিন্দি ভাষা। আরেকটি টুইটে মাতৃভাষার পাশাপাশি হিন্দি ভাষা ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আজ হিন্দি দিবস। এই দিনে মাতৃভাষার পাশাপাশি হিন্দির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আমি আপামর দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ, সেটাই মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন ছিল। হিন্দি দিবসের শুভেচ্ছা রইল। এরপর এই দাবিরে পরিপ্রেক্ষিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এক ভিডিও পোস্টে কমল হাসান বলেন, ভারত স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর ১৯৫০ সালে বলা হয়েছিল সবার ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষা করা হবে। কোনো শাহ, সুলতান বা স¤্রাট সেই প্রতিশ্রুতি ভাঙতে পারবেন না। সব ভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে কিন্তু তামিল সব সময়ই আমাদের মাতৃভাষা থাকবে। জালিকাট্টু একটি প্রতিবাদ ছিল। কিন্তু ভাষা নিয়ে আমাদের এই লড়াই অনেক বড় হবে। তিনি আরো বলেন, ভারতের ঐক্যের জন্য অনেক রাজা তাদের রাজত্ব হারিয়েছেন। কিন্তু জনগণ তাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও পরিচয় ছাড়েনি। ভারত ও তামিলনাড়ুর মানুষ এ ধরনের কোনো লড়াই চায় না। সবাই আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে বাংলায় জাতীয় সংগীত গায়। কারণ যে কবি এটি লিখেছেন তিনি জাতীয় সংগীতে সব ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সমান শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন, এ কারণেই এটি জাতীয় সংগীত হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ভারতকে বিভক্ত করার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে সবাইকে বেগ পেতে হবে।