কপিলমুনির প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সেজেছে জাতীয় পাতাকার আদলে

0
276

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি:
যেকোন দেশের স্বাধিনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সে দেশের জাতীয় পতাকা। দেশের উন্নয়ন অগ্র যাত্রায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক শক্তি দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে নতুন আয়োজনে। স্বাধীনতা পরবর্তী আজ নতুন রুপে নতুন উদ্দীপনায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে বিশ্ব মোড়লরাও অনুকরণ-অনুসরণ করছে নতুন বাংলাদেশকে। সে নিরিখে দেশের মেধা মননেও এসেছে নানাবিধ পরিবর্তন। বিশেষ করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই অবাধ অগ্রগতির যুগে সুন্দর আগামীর পথে নতুন প্রজন্মেকেও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে স্বাধীনতার শেঁকড় আঁকড়ে। স্বাধিনতা যুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস থেকে সরে এসে জানান দেয়া হচ্ছে প্রকৃত ইতিহাস। এমর কোন শিশু-কিশোর নেই যে,তারা বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ভাষণ জানেনা।
এক কথায় নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছে মাথা উঁচুর আগামী।
যার ছোঁয়া লেগেছে খুলনার সুন্দরবনের উপকূল ঘেঁষা পাইকগাছার কপিলমুনিতেও। বুনিয়াদি শিখনের ভিত প্রস্তুতকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে,আগামীর বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কোন পথে।
ইতোমধ্যে রং-তুলিরর নিখুঁত আাঁচড়ে সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সাজানো হয়েছে জাতীয় পাতাকার আদলে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি কোমলতিদের মেধা-মননে বোপিত হচ্ছে মহান মুক্তি যুদ্ধের বীজ। চির চেনা শৈশবের বিদ্যালয়গুলোকে নতুন দেখায় শিহরণ তুলছে স্বাধীনতার আবেগে। তবে কি এটা নতুন কোন বিদ্যাপীঠ? নাকি ভিন্ন বিদ্যাপীঠ এটি? না এটা আমারই শৈশবের পুরোটা সময় জুড়ে থাকা স্মৃতির এ্যালবাম স্বপ্ন বীজের সেই-ই নীঁড় এটি। না। কেবল খোঁলস নয়,ভেতরেও ঘটেছে আমুল পরিবর্তন। বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিদ্যালয়গুলোকে দেখলেই তার তার অবস্থান সম্পকে সহজেই আন্দাজ করা যায়।
এতে করে কোমলমতিদের পাশাপাশি অভিভাবকমহল ও এলাকাবাসীকেও আন্দোলিত করছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থারও ঘটেছে আমুল পরিবর্তন। বর্তমান সরকারের সফল নেতৃত্বে এগিয়ে চলা শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি শৈশবের শিক্ষা নিকেতনের এমন পরিবেশে কতৃপক্ষকে স্বাগত জানিয়েছেন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে দেখাযায়, উপজেলার কপিলমুনি, গোলাবাটী, রেজাকপুর-কাশিমনগর, হরিদাশকাটী, উলুডাঙ্গা, মামুদকাটী, হরিঢালীসহ পুরো উপজেলা জুড়ে থাকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে।বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের নিত্য-নতুন সমাহার আর দৃষ্টিনন্দন পরিপাটি পরিবেশে শুধু কোমলমতিই নয়,যে কারো হৃদয়কে নাড়া দেবে নতুন আয়োজনে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেজ তাদের মানষিকতায় এনেছে সাম্যের সুর। শিক্ষকরাও ক্লাস নিচ্ছেন, সন্তানের মত করে। প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়েই ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষকরা দূর্বল ও সবলদের আলাদা আলাদাভাবে মনযোগ সহকারে পার্টটাইম ক্লাস নিচ্ছেন। এযেন চির চেনা বিদ্যাপীঠে এক নতুনের গন্ধ। এসময় শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে তাদের অনুভূতির কথা।
এব্যাপারে কথা হয়, ৬৭ নং রেজাকপুর-কাশিমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রতিটি বিদ্যাপীঠ নতুন রুপে সাজাতে। চেষ্টা করছেন, ছেলে-মেয়েদের নতুন আগামীর জন্য প্রস্তুত করতে।