কঠোর হুশিয়ারীর পরেও মজুতদারেরা সক্রিয়, চিতলমারীতে কমেনি হাইব্রীড ধানবীজের দাম

0
1116

এস এম তাজউদ্দিন, বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাইব্রীড ধানবীজের তীব্র সংকট কাটছেনা। মজুতদারদের খামখেয়ালীপনার কারনে কৃত্রিম এ সংকট রয়েই গেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও জেলা বাজার কর্মকর্তা ধানবীজের দোকানে দোকানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে বীজ বিক্রি সংক্রান্ত মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সে নির্দেশনা দৃশ্যত: কোন কাজে আসছেনা। একশ্রেণীর অতি মূনাফালোভী মজুতদাররা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চিতলমারীতে হাইব্রীড ধানবীজের তীব্র সংকট জিইয়ে রেখেছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন।
ভোগান্তির শিকার এসব কৃষকেরা জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতেই বিশেষ করে আলোড়ন ও হীরা-২ ধানবীজ সংকট দেখা দেওয়ায় এ অঞ্চলের ৩০ হাজার একর জমি’র চাষাবাদ নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেশী দামে হাইব্রীড ধানবীজ বিক্রি করছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ক’দিন আগে প্রকাশ হয়। এ খবরে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে গত ২ দিন ধরে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও জেলা বাজার কর্মকর্তা বীজের দোকানে দোকানে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সেই সাথে তারা হাইব্রীড ধানবীজসহ কৃষি বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি সংক্রান্ত মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সে নির্দেশনাকে ভ্রæক্ষেপ করে এক শ্রেণীর অতি মূনাফালোভী ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছা-খুশী মত বেশী দামে হাইব্রীড ধানবীজ বিক্রি করছেন।
বুধবার হাটের দিন দুপুরে চিতলমারী বাজারে আসা কৃষকেরা আরও জানান, বাজারে এখন আলোড়ন ধানবীজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর হীরা-২ ধানের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫০ টাকা লেখা থাকলেও তা এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা দরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ধানবীজ ব্যবসায়ী, ডিলার ও কোম্পানী প্রতিনিধিরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট বø¬কের সংখ্যা ২১টি। এরমধ্যে ২৮ হাজার ৬৬০ একর জমিতে হাইব্রিড, উফশী ৬৫২ ও স্থানীয় জাতের ধান ১১৮ একর জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বীজ সংক্রান্ত অনিয়মের খবর শোনার পর বাজারে দোকানে দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অনিয়ম-দূর্নীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে বাগেরহাট জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান মুঠোফোনে জানান, হাইব্রীড ধানবীজ ও কৃষি উপকরণ বিক্রি সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও অনিয়ম করে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কৃষি বিপনন আইন-২০১৮ (ধারা) মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।