ওয়ার্ড সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত ১১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা-কর্মীরা

0
322

খালিশপুর প্রতিনিধি
খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে আ’লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করা হয়। আগামী ১৫ নভেম্বর এর মধ্যে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড আ’লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর প্রতিক্ষার পর আবারো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওয়ার্ড আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এতে নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো ১১ নং ওয়ার্ডেও নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাস্ততা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে প্রাণোচ্ছল উন্মাদনা।
সকল প্রার্থীর কাছেই জানতে চাওয়া হয় কি চান ? কাউন্সিল নাকি সিলেকশন। জবাবে সকলের একই উত্তর ‘ডু নট সিলেকশন, অবশ্যই ইলেকশন’। তবে সিদ্ধান্ত যা কিছুই হোক, দল ও সংগঠনের প্রয়োজনে দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানাবেন প্রার্থীরা এমনটাই মনোভাব প্রকাশ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ। বয়োজ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে ১১ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর। তিনি জানান, ৬০ দশকে তার মামা সাহেব আলীর অনুপ্রেরণায় ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যদিয়ে শুরু করলেও তার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন বীর প্রতিক অধ্যাপক আবু সুফিয়ান। যার হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন।
তিনি আরো জানান, পড়ালেখা চলাকালীন খুলনার বর্তমান নগর পিতা তালুকদার আব্দুল খালেক এর সাথেও ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ একাধারে পরপর ৩বার ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি পদে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি দল ও সংগঠনকে গতিশীল রাখার জন্য সদা সচেষ্ট থাকেন বলে জানান। যে কারনে আগামী ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য অন্যান্যদের মতো তিনি কোন প্রকার প্যানেল,প্যানা,ফেস্টুন করবেন না। তিনি এও জানান দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত হওয়ায় দল বা কর্মীদের কাছে নতুন করে পরিচিত হবার কিছুনেই।
মোঃ জাকির হোসেন। তিনি ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনিও পরপর ৩ বার ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করলেও এবারেই প্রথম বারের মতো সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন। দীর্ঘদিন সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর এবারে কেন সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে একবাক্যে জানান শুধুমাত্র পদোন্নতি ছাড়া কিছুই নয়।
মিনহাজুল রহমান (উজ্বল) তিনি ১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সিনিয়র যুব সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বেশ সুনামের সাথেই। তিনি একাধারে একজন সফল ব্যাবসায়ীও। সদ্য সেচ্ছায় অব্যাহতি নেয়া এই নেতা আগামীতে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদকের পদে প্রার্থী হবেন। গতকাউন্সিলে তিনি সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হলেও দলের সিনিয়রদের পরামর্শে এবারে প্রার্থী ও নির্বাচিত হবার জন্য পূর্ন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
৯৬’র খালেদা বিরোধী আন্দোলন সহ দলের দূর্দিনে রাজপথে থেকে বহু আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সেন্টার কমিটির আহবায়ক হিসেবে বেশ সুনামের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে সমর্থ হন। তিনি মনে করেন সংগঠনকে বেগবান করার মতো যোগ্যতা তার আছে। যে কারনে তিনি নিরাশ হবেননা বলে পূর্ণ আশা রাখেন।
মোঃ আবু শেখ,১১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদকের পদে সতন্ত্র প্রার্থী হতে যাচ্ছেন প্রথম বারের মতো। তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের মানব শিক্ষা সম্পদ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলের কর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিদের সামর্থ অনুযায়ী আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা করে থাকেন। তৃনমূলে কর্মীদের সক্রিয় রাখতে সর্বদা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন শত ব্যাস্ততার মাঝেও। বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এর ¯েœহতুল্য হওয়ার কারনে তাদেরকে তিনি তার রাজনৈতিক আদর্শ মনে করেন। তিনি বলেন, ১১ নং ওয়ার্ড সহ মহানগরে দলের প্রতিটা সভা সেমিনারে নিজেকে রাখেন অগ্রগন্য। যে কারনে সকলের সাথে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। বিগত দিন সহ আ’লীগের পরিক্ষীত সৈনিক হিসেবে দাবী করেন।
আব্দুর রাজ্জাক খান। সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন ওয়ার্ড ও খালিশপুর থানা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। দলের কর্মকান্ডকে আরো সুসংগঠিত করতে তিনি
সাধারন সম্পাদকের পদে প্রার্থী হবেন বলে জানান।
তিনি দীর্ঘদিন প্রতিটা নির্বাচনে ৫ তলা মহিলা কেন্দ্রের আহবায়কের দায়িত পালন করেন সুনামের সাথে। যদি তিনি দায়িত্ব পান তাহলে ওয়ার্ডের ৫টি মজবুত ইউনিট কমিটি গঠন সহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলের পক্ষে যেকোন নির্দেশ পালন করতে সদা প্রস্তুত।
শ্রমিক দরদী নেতা হিসেবে খালিশপুর সহ অত্র অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় নেতা সরদার আলী আহম্মেদ। তিনি ১১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা-কর্মীদের জন্যই তিনি সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করতেই প্রার্থী হচ্ছেন। ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহু আন্দোলন সংগ্রাম সহ দলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করে যোগ্য নেতৃত্ব দান করেন।
নারী নেত্রী শাহানা শারমীন। তিনি ১১ নং ওয়ার্ড মহিলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি থাকলেও এবার তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী হবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্বীবিত তার পিতার আদর্শের মিশেলে মানুষের জন্য দল করেন। তাই তার যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মী ও সংগঠন তার যোগ্যতার মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করেন। পাশাপাশি দলের যেকোন প্রয়োজনে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেবেন বলে দাবী করেন।