ওজোপাডিকো’র খেয়ালিপনায় এলাকাবাসির অসন্তোষ

0
386

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওজোপাডিকো’র মাইকিং। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদুৎ থাকবে না। কারণ বিদুৎ লাইনে নতুন কেবল সংস্থাপনের কাজ চলছে। তবে রাত প্রায় ৭টা থেকে ৮টা বাজলেও ওই এলাকায় বিদুৎ আসেনা। এনিয়ে ক্ষুব্দ ওই এলাকার বাসিন্দারা। বিগত পনেরো দিন ধরে চলছে তাদের এই দূর্ভোগ। এভাবে বিদ্যুৎ’র উন্নয়ন কাজ চলবে আরও একমাস, ওজোপাডিকোর বরাত দিয়ে এমনটাই বলছেন উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, দূর্ভোগের শিকার ওই এলাকাটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মোহাম্মদনগর সাবষ্টেশন-৪। বয়রা শ্মশান ঘাট, মোস্তর মোড়, জয়বাংলা মোড়, আরাফাত আবাসিক এলাকা, খানজাহান নগর, ইসলাম নগর, গল্লামারী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নিয়ে গঠিত।
স্থানীয় বাসিন্দা খুলনা জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মো: জলিল তালুকদার। পরিবারে আছেন ৫ বছরের শিশু সন্তান, কন্যা। দুজনেই স্কুল পড়–য়া। দিনভর বিদুৎ না থাকায় দৈনন্দিন পড়াশুনায় বিঘœ ঘটছে। আছেন জলিলের বৃদ্ধ মা ও সহধর্মীনি। বিদুৎ না থাকায় পানি তোলা যাচ্ছেনা মোটরে। এতে রান্না-বান্না, গোসলসহ দৈনন্দিন কাজের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার বাড়িতে আছেন ৮/৯টি ভাড়াটিয়া পরিবার। তাদের সমস্যার চিত্রও একই।
শুধু জলিল নয়, তার মতোন ওই এলকার আবুল হোসেন, গল্লামারী মৃণাল কান্তি রায়, ছোট বয়রা শ্মশান এলকার জিয়াউর রহমান, শাহিনসহ অনেকই ওজোপাডিকোর এমন দূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা বলছেন এমনটি চলতে থাকলে ক্ষুব্দ জনগণ সহ্য সীমার বাইরে চলে যাবে। ঘটতে পারে অনভিপ্রেত ঘটনাও। তাই অচিরেই এর সুষ্ঠ সমাধান দাবি করেছেন তারা।
ওজেপাডিকো’র সাবষ্টেশন ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান জানান, গল্লামারী সাবষ্টেশন হতে পথের বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার কেবলটি বেশ পুরাতন হওয়ায় লোড নিতে পারছে না। তাই পুরাতনটা পাল্টে নতুন করে মোটা তার সংস্থাপন হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের জন্য এমন ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।