এমবাপ্পের ফেরার ম্যাচে আবারো পিএসজি’র জয়

0
328

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: উরুর ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ একমাস পর কাল মাঠে ফিরেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর ফ্রেঞ্চ এই তারকার ফেরার দিনে নেইমারের একমাত্র গোলে কাল লিগ ওয়ানে বোর্দোকে পরাজিত করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। এই ম্যাচের মাধ্যমে কাল মৌসুমে প্রথমবারের মত একসাথে মাঠে ছিলেন নেইমার ও এমবাপ্পে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন এমবাপ্পে। ৬০ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার স্থানে তিনি মাঠে নামেন। কিন্তু তখনো ডেডলক ভাঙ্গতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মাঠে নেমেই নিজেকে প্রমানে যেন ব্যস্ত ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ তরুণ। ৭০ মিনিটে তারই সহযোগিতায় নেইমার ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলে রক্ষা পায় পিএসজি। এর আগে তার লো ক্রস থেকে নেইমার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। মাঠে নেমেই ডানদিক থেকে একের পর এক আক্রমণ করে গেছেন এমবাপ্পে।
ম্যাচ শেষে ফ্রেঞ্চ সম্প্রচারকেন্দ্র বিইআইএন স্পোর্টসকে নেইমার বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার দেয়া গোলগুলোই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচে দলকে রক্ষা করার জন্যই আমি এখানে এসেছি। অবশ্যই কিলিয়ানকে আবারো দলে পাওয়াটা সকলের জন্য স্বস্তির। সে তার হাসি ও ফুটবলীয় প্রতিভা দিয়েই আবারো দলে ফিরেছে।’
এর আগে লিগে দু’টি ম্যাচে নেইমারের একমাত্র গোলেই শেষ মুহূর্তে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়। স্টার্সবার্গের বিপক্ষে ম্যাচ শেষের ইনজুরি টাইমে ও অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ৮৭ মিনিটে নেইমার জয়সূচক গোলগুলো করেছিলেন।
গত এপ্রিলে সর্বশেষ ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে এমবাপ্পে ও নেইমার একসাথে খেলেছিলেন। যদিও ম্যাচে রেনের কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছিল পিএসজি। বোর্দোর বিপক্ষে কাল স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের মুখে বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে পিএসজির আক্রমণভাগকে। তবে এমবাপ্পে মাঠে নামার পর ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায়। কখনো নিজেই আক্রমণ চালিয়েছেন, আবার কখনো সতীর্থদের আক্রমনে সহযোগিতা করেছেন। তবে বোর্দো গোলরক্ষক বেনোয়িট কস্টিলের কারণে পিএসজি’র এগিয়ে যাওয়া হয়নি। এমবাপ্পে বাড়ানো বলে এ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার শটও ডাইভ দিয়ে রক্ষা করেন কস্টিল। বুধবার রেইমসের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত পিএসজি শেষ পর্যন্ত অবশ্য এই জয়ে স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে ভিএআর’র সহায়তায় বোর্দোর পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়ে গেলে এ যাত্রা রক্ষা পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে আট ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে পিএসজি।
দিনের আরেক ম্যাচে এ্যাঙ্গারস এমিয়েনসের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে। এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলে পিএসজির সাথে সমান পয়েন্ট অর্জন করতে পারতো দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ্যাঙ্গারস। লিঁওকে ১-০ গোলে পরাজিত করে নানটেস দিনের শুরুতে অল্প সময়ের জন্য টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল। কিন্তু পিএসজির জয়ে তাদের তৃতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছে।