এবার শ্রীলঙ্কায় লড়বে বাংলাদেশের ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’

0
327

খুলনাটাইমস বিনোদন: শ্রীলঙ্কায় ৩ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসবে জাফনা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫ম আসর। আর এই উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম অমনিবাস চলচ্চিত্র ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর কনসালটেন্ট (ফিল্ম) ও ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’র ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার জানান, শ্রীলঙ্কায় জাফনা চলচ্চিত্র উৎসবে এরআগেও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘জালালের গল্প’ ও গেল বছর ‘কমলা রকেট’ প্রদর্শীত হয়েছিলো। এবারও বাংলাদেশ থেকে একটি চলচ্চিত্র সেখানে প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়ছে, আর সেটাও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ! শ্রীলঙ্কার সীমান্তবর্তী শহর জাফনা। আর এই শহরের নাম অনুসারেই পঞ্চমবারের মতো বসতে যাচ্ছে জাফনা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া জাফনা চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলো আবু শাহেদ ইমনের বহুল প্রশংসিত ছবি ‘জালালের গল্প’। ২০১৮ সালে জাফনা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা শুরু হয়েছিলো ‘কমলা রকেট’-এর। ১১ নির্মাতার চলচ্চিত্র ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’। বিশ্বের অন্তত বিশটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের এই ছবিটি। ২৩ আগস্ট থেকে রাশিয়ায় অবস্থিত পৃথিবীর শেষ সীমান্ত হিসেবে পরিচিত সাখালিন শহরে বসে ১০ম সাখালিন ফিল্ম ফেস্টিভাল। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছবির সাথে দেখানো হয় ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’। এই উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন ছবির ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার আবু শাহেদ ইমন। ইমন জানান, ছবিটি দেখে সবাই বেশ প্রশংসা করেছেন। শুক্রবার থেকে সিঙ্গাপুরে বসছে ‘সিঙ্গাপুর সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল’। এই উৎসবেও দেখানো হবো ছবিটি। রাশিয়া থেকে এই উৎসবে যোগ দিতে ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’র প্রতিনিধি হয়ে সিঙ্গাপুরেও যাচ্ছেন ইমন। বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ দেখানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তির পরিকল্পনা করছেন জানিয়ে ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’র এই ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জানান, শিগগির আমরা ছবিটি সেন্সরে জমা দিবো। এরপর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয়টি চ‚ড়ান্ত করবো। আশা করছি আগামি অক্টোবরের দিকে বড়পর্দায় ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। সা¤প্রতিক ঢাকার চিত্র নিয়ে নির্মিত ছবি ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’। নির্মাতারা হলেন গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মাহমুদুল ইসলাম, মীর মোকাররম হোসেন, রাহাত রহমান, রবিউল আলম রবি, সৈয়দ সালেহ আহমেদ সোবহান, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, তানিম নূর, তানভীর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও নুহাশ হুমায়ূন।