এপর্যন্ত করোনায় প্রাণ দিয়েছেন ২৪ পুলিশ সদস্য

0
290

দেশে করোনা বিস্তারের শুরু থেকে জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেয়ায় একক পেশা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যরা সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত করোনা যুদ্ধে পুলিশের ২৪ গর্বিত সদস্য দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দফতর জানায়, দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী পুলিশের গর্বিত সদস্যদের মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পদমর্যাদার চার কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এসপিবিএন-২ এর ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়ার (৫৮), সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের সদর কোর্টের ইন্সপেক্টর মো. ফজলুর রহমান (৫৭), কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পুলিশ লাইন্সের ইন্সপেক্টর মো. আবদুল জলিল সরদার (৫৫) এবং ডিএমপির সিটিটিসির ইন্সপেক্টর রাজু আহম্মেদ (৪৩)। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ছয় কর্মকর্তা দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। তারা হলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্ররক্ষা শাখার এসআই নাজির উদ্দিন (৫৫), সিটিএসবির এসআই মজিবুর রহমান (৫৮) ও এসআই মো. রাসেল বিশ্বাস (৩৫)। এ তালিকায় আরও রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সীতাকুÐ থানার এসআই মো. একরামুল ইসলাম (৪৫), রাজশাহী আরআরএফের এসআই মোশারফ হোসেন শেখ (৫৬) এবং ডিএমপির পিওএম-পশ্চিম বিভাগের এসআই সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার তিন গর্বিত সদস্য শহীদ হয়েছেন। তারা হলেন, ডিএমপির পিওএম-দক্ষিণ বিভাগের এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮) ও এএসআই আ. খালেক (৩৬) এবং সিএমপির এএসআই মোহাম্মদ মর্তুজা কাইয়ুম (৪৮)। নায়েক পদমর্যাদার একজন এবং কনস্টেবল পদমর্যাদার ৯ গর্বিত সদস্য শহীদ হয়েছেন। তারা হলেন, ডিএমপির এমটি শাখার নায়েক আল মামুন (৪৩), হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন (৫৪), ট্রাফিক-পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল মো. জালাল উদ্দিন (৪৭), ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) এবং ওয়ারি ফাঁড়ির মো. জসিম উদ্দিন (৪০)। এ তালিকায় আরও রয়েছেন সিএমপির হালিশহর থানার কনস্টেবল নেকবার হোসেন (৪২), ট্রাফিক বন্দর বিভাগের মো. নঈমুল হক (৩৮) এবং কনস্টেবল মামুন উদ্দিন (২৭)। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার কনস্টেবল মো. আমিনুল হক (৪৪) ও চট্টগ্রাম জেলার সদর কোর্টের কনস্টেবল মোখলেছুর রহমান (৫৭)। এ ছাড়াও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দফতরে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিট এসএসএইই /এম (পি) আলী হায়দার আবু এনাম এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের সিভিল স্টাফ নিরোধ চন্দ্র করোনায় সংক্রমিত হয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। পুলিশ সদর দফতর জানায়, করোনাযুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের প্রধান অগ্রসেনানী বাংলাদেশ পুলিশ। এ কারণে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সবার আগে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ লড়াইয়ে দেশের কল্যাণ ও মানুষের নিরাপত্তা, সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে এ পর্যন্ত ২৪ জন সহকর্মীকে হারাতে হয়েছে। তবুও একবিন্দু দমে না গিয়ে শক্ত মনোবল আর পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ পুলিশ।