উন্নয়নের টাকা কোথায় যায়? শরণখোলায় এখনো হাটুকাঁদা ভেঙ্গে মানুষের চলাচল

0
530

শরণখোলা প্রতিনিধি:
শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনয়নের ৯ নং খুড়িয়াখালী ওয়ার্ডের পিলের রাস্তা এটি। হাটুকাঁদা ভেঙ্গে চলাচলের এমন দৃশ্য এখন আর কোথাও দেখা যায় না। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রত্যন্ত গ্রামেও সাধারণত ইট দিয়ে হলেও রাস্তা পাঁকা করন করা হয়েছে। এডিপি, এলজিএসপি, টিআর-কাবিখাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন তহবিল থেকে জনদুর্ভোগের এসব কাজ গুলো করার কথা। কিন্তু সাউথখালী ইউনিয়নের অবস্থা দেখে মনে হয় সেখানে যেন সরকারের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন সরকারি অর্থ তাহলে কোথায় যায়?
রাস্তাটির দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। রাস্তার পশ্চিম দিকে রয়েছে গ্রামিন ডাকঘর একটি মাদ্রাসা ও একটি বাজার। পূর্বদিকে আঞ্চলিক মহাসড়ক। রাস্তার পশ্চিম অংশে কয়েক হাজার লোকের বসবাস। ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। হাটু সমান কর্দমাক্ত হয়ে নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ রোগী নিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। র্দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জনপ্রতিনিধিদের উপর চরম ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাসেল মুন্সি, মোফাজ্জেল হাওলাদার, হালিম হাওলাদার, ফয়সাল বয়াতী জানান, শরণখোলা উপজেলায় এরকম আর কোন রাস্তা আছে বলে মনে হয় না। আমাদের এ রাস্তাটি জন প্রতিনিধিদের চোখে পড়ে না। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ২০ বছর আগের মতো এখনো যদি হাটু সমান কাদা ভেঙ্গে চলাচল করতে হয় তাহলে সরকারি অর্থ কোথায় ব্যায় হয়। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
৯নং খুড়িয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্ছু মুন্সি বালেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটির আবস্থা খারপ। ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের আর সীমা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলার পর মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাস্তাটির মাপ দিয়ে কাগজ জমা দিয়ে এসেছি।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এবছর না হলেও আশা করি আগামী বছর রাস্তার কাজ শুরু হবে।
শরণখোলা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম জানান, ওই রাস্তাটি বৃহত্তর বাগেরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি পাশ করা হলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, রাস্তাটি যাতে ইট দিয়ে পাঁকা করন হয় তার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।