ইরানকে নিয়ে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

0
240

খুলনাটাইমস আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানকে নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তেহরান উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করতে পারে। এর মাধ্যমে নিজের সামরিক বাহিনীর আরও আধুনিকায়ন করবে দেশটি। ১৫ নভেম্বর ইরানি কর্তৃপক্ষ সরকারি রেশনে দেওয়া পেট্রোলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিলে সেদিন থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত দুই জন নিহত হয়। রাস্তা অবরোধ ছাড়াও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের নতুন এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। পেন্টাগনের এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘ইরান মিলিটারি পাওয়ার’। এতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ইরান উন্নত যুদ্ধবিমানের মতো যেসব অগ্রসর প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম দেশীয়ভাবে উৎপাদনে সক্ষম নয় সেগুলো আমদানির দিকে ঝুঁকবে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইতোমধ্যেই রাশিয়া ও চীন থেকে সামরিক হার্ডওয়্যার কেনার বিষয়টি পর্যালোচনা শুরু করেছে তেহরান। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনারও আগ্রহ দেখিয়েছে ইরান। এদিকে জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানে গত সপ্তাহের বিক্ষোভে ১০৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি দাবি করেছে, বিক্ষোভকারীদের জমায়েতে ভবনের ছাঁদ থেকে স্নাইপাররা গুলি চালিয়েছে। একটি ঘটনায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে। গত রোববার বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইরানের আধা সরকারি ফার্স নিউজ তিন দিনের বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১২ জন বলে দাবি করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ২১টি শহরে বিক্ষোভের সময় অন্তত ১০৬ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিশ্বাসযোগ্য খবর, নিশ্চিত হওয়া ভিডিও এবং মানবাধিকারকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দাবি জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি। তাদের দাবি, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কিছুকিছু খবরে নিহতের সংখ্যা ২০০ জনের মতো বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিহতের সংখ্যা প্রমাণ করে ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর বেআইনি হত্যার প্রবণতা। তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অত্যধিক ও প্রাণঘাতী শক্তিপ্রয়োগ করেছে। গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং শতাধিক প্রাণহানির মধ্যেই ইরানের সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানালো ওয়াশিংটন।