আসামীরা প্রকাশ্যে,পাইকগাছায় অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী পূর্ণিমা হত্যায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড

0
654

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি::


পাইকগাছায় অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী পূর্ণিমাকে যৌতুকের দাবীতে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। বাদীর অভিযোগ, আসামীরা প্রকাশ্য থাকলেও পুলিশ অদৃশ্য কারণে আটক করছে না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুনকিয়া গ্রামের নির্মল মল্লিকের পুত্র প্রিন্স মল্লিক (২৬) বটিয়াঘাটা উপজেলার ভগবতীপুর গ্রামের পংকজ কুমার সরদারের কন্যা পূর্ণিমা (২১) গত ১৪/০৫/২০১৮ তারিখে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর পূর্ণিমা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। তারপর পূর্ণিমার স্বামী প্রিন্স মল্লিক, ননদ পপি শ্বশুর নির্মল ও শ্বাশুড়ি সীমা বিভিন্ন সময় ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের টাকা পূর্ণিমার পিতার নিকট আনতে বলে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। পূর্ণিমার পিতা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে পুর্ণিমার স্বামী প্রিন্স, ননদ পপি, শ্বশুর নির্মল, শাশুড়ি সীমা গত ২৭/০৭/২০১৯ তারিখ সকালে পূর্ণিমা হত্যা করে।

তারপর তারা পূর্ণিমার লাশ ঘরের আড়ায় সাথে গলাই রশি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে পূর্ণিমার পিতাকে মোবাইলে খবর দেয়। পূর্ণিমার পিতার বাড়ী দূরে হওয়ায় মোবাইলে মুনকিয়া গ্রামের যুগোল সরদার এ খবর শুনে প্রিন্সদের বাড়ী যায়। গিয়ে দেখে পূর্ণিমার লাশ ঘরের মেঝেতে পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করছে। তারপর যুগোলের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। যুগোল পূর্ণিমাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আচ করতে পেরে পূর্ণিমার বাবা পংকজকে মোবাইলে জানায়। পুলিশ একটি ইউডি মামলা করে, যার নং- ২৯/১৯, তারিখ- ২৭/০৭/২০১৯।

পূর্ণিমার পিতা ঐ দিন সন্ধায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ বলা হয়। তারপর পূর্ণিমার পিতা পংকজ সরদার বাদী হয়ে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ স্বামী প্রিন্স, ননদ পপি, শ্বশুর নির্মল ও শাশুড়ি সীমাকে আসামী করে ১৫/০৯/২০১৯ তারিখে মামলা করে, যার নং- ৮০/১৯। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি পাইকগাছা থানাকে মামলা রুজু করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্য শেষ করে প্রতিবেদন আদেশ দেন।

সেই আদেশ মোতাবেক ওসি, পাইকগাছা থানা ০৫/১০/২০১৯ তারিখে থানায় মামলা রেকর্ড করেন, যার নং- ০৯।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বি,এম লিয়াকত আলী জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত পূর্ণিমার আঘাতের চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। থানা হতে মুনকিয়া গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সেখানে সোর্স নিয়োগ করে আসামী ধরার জোর চেষ্টা চলছে।