আশাশুনীর ভাঙন কবলিত এলাকায় সংস্কারে পদক্ষেপ নিন

0
647

 

সাতক্ষীরার মানচিত্রে সর্বশেষ সীমানা প্রতাপনগর। আশাশুনীর একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। নানা ঐতিহ্য ও গর্বেও দাবীদার। ১৯টি গ্রামের পরিধি। এখানকার ৪০ হাজার মানুষের ১২ মাসের সাথী দূর্যোগ বিপত্তি। বছরের কোন না কোন সময় শুভাদ্রকাটি, কুড়িঁকাহুনিয়া, চাকলা, হরিশখালি, হিজলা ও কোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডেও বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় বাধে এখানকার একাধিক বেড়িবাঁধ। ২০০৯ সালের আইলা নামক প্রাকৃতিক দূর্যোগে চাকলা ও দিঘলারআইটের ভৌগিলিক অবস্থানের পরিবর্তন হয়। বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাহাড়ে। অনেক পরিবার পাহাড়ে স্থায়ী বসতি গেড়েছে। আইলার ক্ষতির কাটিয়ে উঠলেও কোলা ও হরিষখালির ভাঙন কোনক্রমেই থামছে না। প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এখানকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। চিংড়ির ক্ষের ও আমন আবাদে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ঋণী হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে মহাজনরা চড়া সুদে দাদন দিচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। পাশপাশি গৃহহীন হচ্ছে একাধীক পরিবার। ভাঙনের কবলে পড়ে সনাতনকাটি গ্রামের জেলেরা স্থানান্তর হয়েছে। তারা স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাই করে নিয়েছে। কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়ার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে নদী শাসন প্রয়োজন। আর সেজন্যই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এলাকার জনগোষ্ঠীকে বাচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এক্ষন সংষ্কাওে উদ্যোগ নিতে হবে। আর তা না হলে আইলার মতই জানমালের ক্ষতি হবে। ক্ষতি এড়াতে এখানে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। আইলার মত আরেকটি ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসককে আন্তরিক হতে হবে। পাশপাশি দাকোপের চুনকুড়ি নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সেখানকার নদী তীরবর্তী পরিবেশ হুমকির মুখে। কাজীবাছা নদীতেও অনুরুপ অবস্থা। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।#