আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অবসরের পরও দায়িত্ব পালন!

0
313

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম চাকুরীর বয়সসীমা শেষ হলেও কলেজের দায়িত্ব পালন করায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। কিভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০১৮ এ উল্লেখ আছে, “—বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবার পর কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান/সহঃ প্রধান/শিক্ষক-কমচারীকে কোনো অবস্থাতেই পুনঃ নিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবেনা।” শিক্ষা মন্ত্রণালয় ০৬/০৬/২০১১ তাং পরিপত্র ও ০৯/০৭/২০১২ তাং সংশোধনী মোতাবেক দেখা যায় প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) না থাকলে সহকারী প্রধান/উপাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন, তিনি না থাকলে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক/ জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ০১/০৯/২০২০ তাং ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপরও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমপিও নীতিমালা ও কাঠামো-২০১৮ মোতাবেক দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকায় এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সামালোচনা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি কলেজ শাখার ১০/০৮/২০২০ তাং ৩৭.০২.০০০০.১০৫.২৭.০৩৬.১৯.২৫১ নং স্মারকে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার হস্তান্তরকরণ প্রসঙ্গে একপত্রে দেখাগেছে, ঢাকা মহানগরের ইউনিভারসিটি উইমেনস ফেডারেশন কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা ইয়াসমিন এর বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর না করায় পত্র প্রাপ্তির ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। সুতরাং আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও কিভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তা ক্ষতিয়ে দেখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে গণিত শিক্ষক হিসাবে এক বছরের পাঠ দানের অনুমতি দিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজুলেশন ও চাকুরী বিধি অনুযায়ী গভর্নিং বডি সিনিঃ শিক্ষক হিসাবে আমাকে এক বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অনুমোদন করেছেন। কোন অনিয়ম করা হয়নি।