আশাশুনিতে জমির বিরোধে আহত-৪

0
241

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় জমি কেন্দ্রিক বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রভাষক ফিরোজ আলমসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। আহতর বড় ভাই ফারুক আহম্মেদ থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও মৌখিকভাবে জানান, তিনি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকুরী সূত্রে উপজেলার বুধহাটা বাজার সংলগ্ন এক খন্ড জমি ক্রয় করে বসতঘর বেধে দীর্ঘদিন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। ওই জমি লাগোয়া জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন বুধহাটা গ্রামের মৃত. মাধব আঢ্যর পুত্র তুলসী কুমার আঢ্য। জমির সিমানা নির্ধারণ কেন্দ্রি উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসে মিমাংশা না হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক শালিসের মাধ্যমে মাপ জরিপন্তে সিমানা নির্ধারণ করে দেন। সে মোতাবেক ব্যাংকার ফারুক আহম্মেদ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর সিমানার ঘেরা বেড়া সংস্কার করছিলেন। এ সময় তুলসি আঢ্য, তার পুত্র হিরণ কুমার আঢ্য ও অপর পুত্র কিরণ আঢ্যসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে ফারুক আহম্মেদের বাড়ী ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এসময় ফারুকসহ অপর সহোদর আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আলম ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য ফাইজুল মৌখিকভাবে প্রতিবাদ বা চুপ থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে তুলসি আঢ্য, তার দু’পুত্র হিরণ আঢ্য ও কিরণ আঢ্যসহ ৭/৮ জন আচকা চড়াও হয়ে হামলা চালিয়ে প্রথমে ফিরোজ আলমের রক্তাক্ত জখম করে। ঠেকাতে গেলে ফারুক, স্ত্রী শিক্ষিকা সাবিনা ইসলাম ও সহোদর ফাইজুলকেও মারপিট করে আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ফিরোজ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুক, সাবিনা ও ফাইজুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে গেছে। এ ব্যাপারে ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে আশাশুনি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।