আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙণ \ নতুন করে আরও ১০ গ্রাম প্লাবিত

0
461

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা বেড়ীবাঁধটি নির্মাণের জন্য আট লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরও সময় মত কাজ না করতে পারায় বেড়ী বাঁধের শেষ রক্ষা হলো না। নতুন করে আরও ১০টি গ্রাম প্লাবিত, ভেসে গেছে হাজার হাজার মৎস্য ঘের ও ধসে পড়েছে সহ¯্রাধিক কাঁচা পাকা ঘর। গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সরোজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের ভাষ্য মতে জানাগেছে, সম্প্রতি একই স্থান হতে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে প্রাথমিকভাবে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এর পর টেইসই মজবুদ বাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকার কর্তৃক আট লক্ষ টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করায় শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আজ সহায় সম্বল হারিয়ে উপকুলীয় ওয়াপদা বেড়ী বাঁধের উপর ও সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। রোববার খোলপাটুয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নড়বড়ে ৫০-৬০ হাত বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ওই দিন বিকালে ভাটা নেমে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটির কাজ শুরু করেন রাত ১২টার দিকে তা শেষ হয়। পুনরায় রাতে প্রচন্ড জোয়ারের পানির চাপে আবারও ভেঙ্গে যায়। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, ইঞ্জিনিয়ার, পাউবোর কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ভাঙ্গণকুল পরিদর্শনে গেলে তাদের নিকট বাঁধের সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান, শ্রীউলা ইউনিয়নটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন ইউনিয়ন। কারণ এই ইউনিয়নের তিন ধারে নদী বেষ্টনি এলাকা বছরে ২/১বার বাঁধ ভেঙ্গে এ ইউনিয়ন প্লাবিত হয় না এমন কোন বছর নেই। বর্তমানে গত দুই দিনে জোয়ারে পানি প্রবেশ করে সীমাহীন ক্ষতি সাধন হয়েছে। মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছেনা মুসুল্লিরা, হিন্দু ধর্মীয় অবলম্বিরা মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ জালাতে পারছেনা, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা সবমিলে গত দুই দিনে বাঁধ ভাঙ্গণের ফলে কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ রিপোর্র্ট লেখা পর্যন্ত জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করছে। দ্রæত টেইসই মজবুদ ভাঙ্গণ বাঁধ নির্মাণ করে পানি বন্দি হাজার মানুষের রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আশাশুনি উপজেলাবাসী।