আশাশুনিতে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

0
340

খবর বিজ্ঞপ্তি:
মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবহার ও ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড় দূর্গাপুর ও বড়দল ইউনিয়নের কৃষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ- খুলনা- বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ওমূল্যায়ন কর্মকর্তা অমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামসুন নাহার রতœা। প্রশিক্ষণে ৬০ জন কৃষাণ কৃষাণী অংশ গ্রহণ করে। তাদের মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবহার ও ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । সভায় বক্তারা বলেন, ফসলের খাদ্য ভান্ডার হলো মাটি। অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে মাটির উর্বরতা শক্তি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ফলে ফসলের ফলন ও উৎপাদন আশানুরূপ হচ্ছে না। এমতাবস্তায় প্রয়োজন মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা। এজন্য মাটির উর্বরতা সংরক্ষণসহ ফসলের কাঙ্কিত ফলন বৃদ্ধির জন্য মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে অধিক ফলন উৎপাদনের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে নকল সার বা ভেজাল সার তৈরি করে বিক্রি করছে। এতে মাটির গুনাগুন নষ্ট হচ্ছে। তাই এ ব্যপারে কৃষকরা একটু সর্তক হলেই আসল সার ও ভেজাল সারের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। কর্মশালায় মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, সুষম সার ব্যবহার ও ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর তা সকল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহŸান জানান হয় । এছাড়াও লবণাক্ত এলাকার জন্য মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি যেমন বিনাচাষে ডিবলিং ও ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ, চারা রোপণ পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ, বিনা চাষে গম ও সূর্যমুখী চাষ, কলস সেচ পদ্ধ্বতি,খামার পুকুর প্রযুক্তি, বর্ষাকালে ধানক্ষেতের আইলে সবজি চাষ, মাল্টিলেয়ার পদ্ধতিতে ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ সম্পর্কে কৃষকদের ধারনা প্রদান করা হয় ।