আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজের অভিযোগ

0
222

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া কালিবাড়ী বাজারে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মান কাজ ও দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আদালতে ভাইলেশন মামলা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার নছিমাবাদ গ্রামের মৃত দবির আলি মোড়লের পুত্র জমাত আলি লিখিত ভাবে জানান, তিনি প্রতিপক্ষ কাকড়াবুনিয়া গ্রামের আঃ মাজেদ ফকির দিং এর বিরুদ্ধে সাব জজ আদালত সাতক্ষীরায় দেং ০২/১২ নং মামলা রুজু করেন। বিজ্ঞ আদালত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ করেন। পরবর্তীতে আদেশ খারিজ হলে জেলা জজ আদালত আদেশের বিরুদ্ধে সিআর ১৪/১২ রুজু করলে স্থিতি অবস্থা বহাল রেখে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে তর্কিত জমিতে চাল উঠালে বাদী জমাত আলি মোড়ল ০১/১৮ নং ভাইলেশন মামলা রুজু করেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৪ অক্টোবর। এদিকে দরখাস্তকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত এ্যাডভোকেট কমিশনার সেখ মোহাম্মদ ফারুক লোকাল ইনভেষ্টিগেশান পজেশান এর বিষয় বস্তু সরেজমিন ইনভেষ্টিগেশান করতে নিয়মমত তদন্ত করেন। তদন্তান্তে উক্ত স্থানে “এ্যাডবেষ্টারের ছাউনি স্ক্রু সমূহ একদম নতুন আর স্থানীয় ভাবে গোপনে তদন্ত করে জানতে পারি আনুমানিক তিন/সাড়ে তিন মাস পূর্বে এ্যাডবেষ্টারের ছাউনি নির্মান করা হয়েছে” মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া বিজ্ঞ আদালত ইনফরমেশান স্লিপের মাধ্যমে মামলায় বিগত ০৮/০১/১২ তারিখে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নাঃ জমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বাদী ও ১-৬ বিবাদীকে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে কিনা? এর জবাবে হ্যা উল্লেখ আছে। অর্থাৎ স্থিতি অবস্থা জারী থাকলেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৬ অক্টোবর প্রতিপক্ষ সন্ধ্যায় উক্ত স্থানে মহিলাদেও উঠিয়ে দিয়েছেন এবং শার্টার নির্মানসহ নতুন করে কাজ করে যাচ্ছেন বলে দাবী করে জমাত আলি বলেন, এব্যাপারে তিনি অতিঃ জেলা জজ ১নং আদালতে পৃথক ভাইলেশন মামলা রুজু করেছেন, যার নং ০১/২০। শুনানী ১৪ অক্টোবর। কিন্তু প্রতিপক্ষ এখনো কাজ বন্ধ করেননি। এমনকি নানা ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে চলেছেন। বাধ্য হয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অসহায় জমাত আলি প্রশাসনসহ আইন আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।