আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সমর্থন

0
466

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ মনোনীত মেযর প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে সমর্থন জানিয়েছেন খুলনা মহানগর নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ । ২১ দফা দাবি উত্থাপন ও আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেককে সমর্থন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের নেতারা এই সমর্থনের কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহŸায়ক ডাঃ শেখ বাহারুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৮ বছর পার হতে চলেছে। এ সময়কালীন নগরবাসী ৬ জন মেয়র পেয়েছেন। এরমধ্যে ৩জন অনির্বাচিত মেয়র। এই ২৮ বছরে বিএনপি’র ২ জন মেয়র ক্ষমতায় ছিলেন প্রয়াত শেখ তৈয়বুর রহমান ১৭ বছর এবং মোঃ মনিরুজ্জামান মনি প্রায় ৬ বছর। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র ছিলেন মাত্র ৫ বছর। তালুকদার আব্দুল খালেক চার ভাগের একভাগেরও কম সময়ে খুলনাবাসীর কাছে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। যা খুলনাবাসীর কাছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, খুলনা নগরীর একজন মানুষ বা ভোটার হিসেবে নগর উন্নয়নের বিচার করতে আগ্রহী। মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহŸান জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম-আহŸায়ক এড. এম এম মুজিবুর রহমান, মকবুল হোসেন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মোকাদ্দেস হোসেন, এসএম জাহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, খলিলুর রহমান, সুবির রায়, শাহিন জামান পন, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ববি, এসএম জিয়াউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, শ্যামল সিংহ রায়।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা কেডিএ এভিনিউকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিনিউ নামকরণ করতে হবে এবং নগরীর বিভিন্ন সড়ক স্থাপনা ও নাম জাতীয় পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্টজনদের নামে করতে হবে। খুলনাতে নতুন পাঁচটি মানসম্পন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। গোলকমনি শিশুপার্ককে আধুনিকায়ন ও দৌলতপুরে এবং খালিশপুরে সিটি করর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি পার্ক স্থাপন করতে হবে। মাদকমুক্ত নগরী গড়তে এবং নাগরিকদেও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ ২১ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।