আ’লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইমাম হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

0
1241

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর গাজী মারা গেছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল ইমাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে খুলনা জেলা কারাগারের কয়েদি শুকুরকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার তাজেল গাজীর ছেলে।
খুলনা কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদ জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত কয়েদি শুকুর গাজীকে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইনি পক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট খুলনা নগরীর শামসুর রহমান সড়কের নিজ বাসভবন থেকে রিকশা করে আদালতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় নিহত হন মঞ্জুরুল ইমাম। মঞ্জুরুল ইমাম খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন তিনি। হামলায় মঞ্জুরুল ইমামের সহযাত্রী আইনজীবী বিজন বিহারী মন্ডল এবং রিকশাচালক সাইদুল ইসলাম আকন্দও নিহত হন। ঘটনার দিনই মঞ্জুরুল ইমামের ছেলে আবদুল¬াহ আল মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে খুলনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০০৪ সালের ১১ মার্চ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযুক্তরা হলেন- শুকুর গাজী, শেখ আব্দুল রাব্বি ওরফে রিপন, গণেশ ব্যানার্জি, ইমাম সরদার ওরফে হাসান ইমাম। ইমাম সরদার পরে জামিনে থাকাবস্থায় ২০০৫ সালে রূপসা উপজেলায় ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে দেয়া হত্যা মামলার রায়ে আসামিদের সবাইকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বিস্ফোরক আইনের মামলায় চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য শুকুর গাজীকে ফাঁসি দেয়া হয়। অন্য দুই আসামি শেখ আবদুল রাব্বী ওরফে রিপন ও গণেশ ব্যানার্জি বেকসুর খালাস পান। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর গাজী দণ্ড মওকুফ চেয়ে আপিল করেছিলেন।