আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন জাহিদ বাশার পঙ্কজ

0
175

টাইমস বিনোদন:
সংগীতে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি বয়ে আনলেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক জাহিদ বাশার পংকজ। আন্তর্জাতিক এক থিম সং প্রতিযোগিতায় জাহিদ বাশার পংকজের ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি দশম ¯’ান অর্জন করেছে। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেলা ১১টায় ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটির (আইডব্লিউএস) বাংলাদেশ শাখার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ গৌরবময় অর্জনের সংবাদটি জানান তিনি। আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটি আয়োজিত থিম সং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ প”থিবীর ১০০টি দেশের প্রতিযোগীদের এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। প্রতিযোগিতায় হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া, বলিভিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ১০ জনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, রাশিয়া, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, হংকং, বলিভিয়া, পোল্যান্ড, মোনাকো-চীন, জাপান, তুরস্ক, কোস্টারিকা, ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, কসোভো, আলবেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, আজার বাইজান, মিসর, সুদান, বেলারুস, তাতারস্তান এবং বাংলাদেশের গুণীজনদের নিয়ে গঠিত হয় ৩২ সদস্যের জুরি বোর্ড। বোর্ডের বিচারে দশম ¯’ান অর্জন করে জাহিদ বাশার পংকজের ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি। গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ নিজেই। বাংলাদেশ থেকে সানি জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্য বিচারকরা নিজ দেশের প্রতিযোগীদের ভোট দেওয়ার নিয়ম নেই এই প্রতিযোগিতায়। এ অর্জন প্রসঙ্গে শুভে”ছা বার্তায় ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটির মিউজিক কো-অর্ডিনেটর রাসিম ডুরান, কান্ট্রিহেড বাংলাদেশ কাওসার হোসেন মাসুদ, ইভেন্টস কো-অর্ডিনেটর ঝুমি রহমান ও জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য সানি জুবায়ের অভিনন্দন জানান জাহিদ বাশার পংকজকে। উ”ছ¡সিত জাহিদ বাশার পংকজ বলেন, ‘এ অর্জন আমার কাছে অনেক আনন্দের। কৃতজ্ঞতা মহান স”ষ্টিকর্তার প্রতি। ধন্যবাদ জানা”িছ আইডব্লিউএস’র প্রেসিডেন্ট আতানুর দোগানকে এবং প”থিবীর ১০০টি দেশে আইডব্লিউএস’র ১১০টি শাখার সব সদস্যকে। ধন্যবাদ জানা”িছ সম্মানিত জুরি বোর্ডকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভক্ত, পরিবার, বন্ধু এবং দেশের সংগীতাঙ্গনের সবার প্রতি।’ জাহিদ বাশার পংকজ দুই যুগ ধরে দেশের সংগীত অঙ্গনে একজন সফল সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তার বহু কাজ বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবসা সফল হয়েছে। সংগীতে মানাম আহমেদের কাছে হাতেখড়ি। সাউন্ড ডিজাইন শিখেছেন পান্না আজম এবং আজম বাবুর কাছে। কী-বোর্ডিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যান্ড আর্ক এবং দলছুট’ এ। এ ছাড়া কাজ করেছেন বিজ্ঞাপন, চল”িচত্র, ডকুমেন্টারি, রেডিও, টেলিভিশনসহ সংগীতের সব মাধ্যমেই।