আদালতের কাছে ‘ন্যায়বিচার’ চাইলেন খালেদা

0
376

টাইমস ডেস্ক :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জিয়া বলেছেন, তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।

মঙ্গলবার বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এই আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতি মামলা চলছে একসঙ্গে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা এবং জিয়া চ্যারিটেবল চার্জ দুর্নীতি মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এবং একটি মামলা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তবে এই মামলারও অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই।

গত ৩০ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নির্ধারিত দিন বামপন্থী কয়েকটি দলের ডাকা হরতালের কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আখতারুজ্জামান।

আজ দুই মামলাতেই আত্মসমর্পণ করে খালেদা জিয়া আবার জামিনের আবেদন করেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করে। সেই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্য চালিয়ে যেতে বলেন বিচারক।

দুর্নীতির দুই মামলায় করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি এই ট্রাস্টের তহবিল সংগ্রহ, বণ্টন এবং কোনো রকম ব্যাংকিং লেনদেনের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত ছিলাম না। কাজেই এর মাধ্যমে নিজের লাভবান হওয়ার কিংবা অন্য কাউকে লাভবান করার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

বিএনপি সরকার একজন বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন প্রণয়ন করে বলেও দাবি করেন তিনি। এই কমিশনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদকে না নেয়ার কারণেই তিনি ইচ্ছা করেই এই মামলায় তাকে ফাঁসিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেত্রী।

‘আমি আরো উল্লেখ করতে চাই যে, এই সাক্ষী হারুন অর রশীদকে কমিশনের সেটআপে অন্তর্ভূক্ত না করায় পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা এবং সাক্ষী দেয়ার জন্য তাকে আবার কমিশনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

এই দুই মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়শই খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নানা বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতে বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ বিশেষ করে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিপরিষদের কতিপয় সদস্য প্রায়শই আমাকে জড়িয়ে জনসম্মুখে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করে।’

‘কিন্তু আমি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অনুকূলে কখনো কোন অর্থ নেইনি। সাক্ষী হারুন অর রশীদ একজন অনুসন্ধানকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে এইরূপ মনগড়া সাক্ষ্য দিয়েছেন।’