আওয়ামীলীগ ছিল বাঙ্গালির মুক্তির পথ : তসলিম আহমেদ আশা

0
331

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাৎকারে খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা বলেন আওয়ামী লীগ ছিল বাঙ্গালির মুক্তির পথ। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে সর্বপ্রথম এই দলটি আত্মপ্রকাশ করে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগের কমিটি। শেখ মুজিবর রহমান ভাবেন পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার আর তখনি তিনি আওয়ামী মুসলিমলীগ গঠন করেন। আর দল গঠনের পরে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার চিন্তা ভাবনা করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী মুসলিম লীগ সংশোধন করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নামকরন করা হয়।
এই দলের ইতিহাস সংগ্রাম অনেক বড়। যেদলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর অত্যাচার, জুুলুমসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষনা করেন। সেই ৬ দফা ৬৯ এ গনঅভ্যূত্থানে রুপ নেয়। ৭০ এ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সরকার গঠন করতে বাধা সৃষ্টি করে পাকিস্তানি শাসক গোষ্টি। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে তার নেতৃত্বে আমরা একটা স্বাধীন দেশ পায়। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ভাগ্যক্রমে জাতির জনকে কন্যা শেখ হাসিনা বাহিরে থাকার কারনে প্রানে বেচে যান। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে এসে তিনি আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। সেখান থেকে ২১ বছর পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসেন। ২০০১ এর পরে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাধা পেরিয়ে ২০০৮ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সেখান থেকে আজকে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে একটি উন্নয়শীল দেশে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী বলিষ্ট নেতৃত্ব দেখে অনেক দেশ আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার পরে তিনি বিচক্ষন নেতৃত্ব দিয়ে আজকে দেশের অর্থনৈতিক সচলতা ধরে রেখেছেন। উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আজ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমি আশা করবো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কাঠামোতে পুরাতন ত্যাগীদের জায়গা হবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।