আইসিসির মার্চের সেরা বাবর ও হেইন্স

0
224
আইসিসির মার্চের সেরা বাবর ও হেইন্স

টাইমস স্পোর্টস: দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন বাবর আজম। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য পুরুষ ক্রিকেটে মার্চের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সেরার লড়াইয়ের বিজয়ীদের নাম গতকাল সোমবার ঘোষণা করেছে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে পেছনে ফেলেছেন বাবর। গত বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের’ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বাবর। পুরুষ ক্রিকেটে তার আগে কেউ দুইবার মাস সেরা হননি। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল হেইন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট ও ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোনকে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি জিতেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান ১-০ তে হারলেও ব্যাট হাতে সিরিজ জুড়ে দারুণ ছিলেন বাবর। দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে করেন ৩৯০ রান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য এক ইনিংসে পাকিস্তানকে রান তাড়ায় ইতিহাস গড়ার পথে রেখেছিলেন বাবর। শেষ পর্যন্ত ড্র হয় টেস্টটি। ৫০৬ রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়কের রেকর্ড গড়া ১৯৬ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান করে স্বাগতিকরা। ইনিংসটি টেস্টে তার ক্যারিয়ার সেরাও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও হেসেছে বাবরের ব্যাট। তিন ওয়ানডের দুটি হয়েছে গত মাসে। যেখানে প্রথম ম্যাচে করেন ৫৭ রান। দ্বিতীয়টিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়া ম্যাচে তিনি মাত্র ৮৩ বলে খেলেন ১১৪ রানের ইনিংস। হেইন্সের হাতে অর্জনটি ধরা দিয়েছে মেয়েদের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে। অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম বিশ্বকাপ জয়ের পথে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। গত মাসের বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে এই ব্যাটারের রান ৪২৯, গড় ছিল ৬১.৩৮ ও স্ট্রাইক রেট ৮৪.২৮। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৩০ রানের ইনিংসে খেলেন তিনি। পরে সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ৮৫। গত বছরের শুরু থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।