অস্ট্রেলিয়ানরা কোহলিদের স্লেজ করতে ভয় পায়

0
177

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: আগ্রাসন যেমন ক্রিকেটে, তেমনি থাকে শরীরী ভাষায়ও। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের চিরায়ত চরিত্র এটি। মাঠে তাদের মুখের কথাও অনেক সময় তোপ হয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। তবে প্রতিপক্ষ যখন ভারত, এই সময়ের অস্ট্রেলিয়া তখন হয়ে যায় একান্ত বাধ্যগত! বাইরের কেউ নন, অস্ট্রেলিয়ারই সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক করছেন এমন মন্তব্য।
নিজের পর্যবেক্ষণের পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ক্লার্ক। সবকিছুর মূলে আইপিএল! বিশ্ব জুড়ে তাবত ক্রিকেটারদের স্বপ্নজুড়ে এখন থাকে আইপিএলের চুক্তি। লাখ লাখ ডলারের হাতছানি, গ্ল্যামার, পরিচিতি, সবই মেলে ভারতের এই টুর্নামেন্টে খেলে। ক্লার্কের মতে, এটিই বদলে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার বাস্তবতা।
স্কাই স্পোর্টস রেডিওর ‘বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে ক্লার্ক বললেন, আইপিএলে খেলার ভাবনাতেই এখন ভারতের সামনে মিইয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ানরা।
“সবাই জানে আর্থিক দিক থেকে ভারত কতটা শক্তিশালী, সেটি আন্তর্জাতিক আঙিনাতেই হোক আর আইপিএল দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এবং সম্ভবত অন্য সব দল, কিছুদিন ধরেই ভারতের বাধ্যগত হয়ে থাকে। কোহলি বা অন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্লেজ করতে তারা ভয় পায়, কারণ এপ্রিলেই তো ভারতীয়দের সঙ্গে আইপিএল খেলতে হবে!”
গত ডিসেম্বরে আইপিএলের নিলামে সাড়ে ১৫ কোটি রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা পেসার প্যাট কামিন্সকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার আরেক তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ন্যাথান কোল্টার-নাইল পেয়েছেন ৮ কোটি রুপির চুক্তি, মার্কাস স্টয়নিস ৪ কোটি ৮০ লাখ, কেন রিচার্ডসন ৪ কোটি, অ্যালেক্স কেয়ারি ২ কোটি ৪০ লাখ, মিচেল মার্শ ও জশ হেইজেলউড ২ কোটি ও অ্যান্ড্রু টাই পেয়েছেন ১ কোটি রুপির চুক্তি। এমনকি দল পেয়েছেন ক্রিস গ্রিন, জশ ফিলিপের মতো উঠতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররাও।
ক্লার্ক নিজেও একসময় খেলেছেন আইপিএলে, যদিও খুব ভালো করতে পারেননি। ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানের ধারণা, আইপিএলের কারণে ভারতের সামনে নিজের সহজাত চরিত্র থেকে দূরে থাকে অস্ট্রেলিয়ানরা।
“গোটা দশেক ক্রিকেটারের কথা বলা যায়, যারা তাদের আইপিএল দলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকে। এজন্যই ক্রিকেটারদের ভাবনা এরকম থাকে, ‘আমি কোহলিকে স্লেজ করব না। আমি চাই সে আমাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে সুযোগ দিক, তাহলে ৬ সপ্তাহে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারব।”
“ এই জায়গাটিতেই অস্ট্রেলিয়া অল্প সময়ের জন্য একটি পর্যায়ের ভেতর দিয়ে গেছে, যখন আমাদের ক্রিকেট হয়ে গিয়েছিল নরম কিংবা ততটা শক্ত নয়, যতটা শক্ত দেখতে আমরা অভ্যস্ত।”
অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ সফরে (২০১৮-১৯) নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছে ভারত।