অলরাউন্ডার সৌম্যে খুলনার লড়াই

0
371

অনলাইন ডেস্কঃ জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের চারটি ম্যাচই ড্রয়ের অপেক্ষায়। বৃষ্টি বাধায় বরিশাল ও কক্সবাজারে ম্যাচ শুরুই হয়েছে গতকাল তৃতীয় দিনে, এখনো সেখানে প্রথম ইনিংসের খেলাও শেষ হয়নি। খুলনা ও বগুড়ায় সেই বাধা না থাকলেও অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে একই ফল অপেক্ষা করছে এখানেও।

খুলনায় ম্যাচের যে চিত্র তাতে অনেক কিছুই সম্ভব। তৃতীয় দিন শেষে রংপুরের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮১ রান, লিড ১৭০ রানের। ৬৩ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন তুষার ইমরান। দিনের শেষ বলে আউট হন নুরুল হাসান। তুষার ছাড়াও খুলনাকে ম্যাচে রেখেছেন সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসের মত এবারো আউট হয়েছেন সত্তুরের ঘরে গিয়েই। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করেন ৭১ রান।

এর আগে হাতে ছয় উইকেট ও ২০০ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর যে ৩১৫ রানে গুটিয়ে যায় সেখানেও পুরো অবদান সৌম্যের। ছয় উইকেটের পাঁচটি একই তুলে নেন ব্যাটসম্যান থেকে বোলার বনে যাওয়া এই মিডিয়াম পেসার। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অবশ্য এর আগেও একবার ৫ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য।

বগুড়ার ম্যাচের চিত্রও প্রায় একই। এখানে চট্টগ্রামের বিপক্ষে চার উইকেট হাতে নিয়ে ২৪২ রানে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯১। সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ১৭ বছর বয়সী নাঈম হাসান একাই তুলে নেন মেট্রোর ৫ উইকেট। উইকেটসংখ্যা আজ আবার বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ তো আছেই।

এর আগে ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই গুটিয়ে যায় ২৩৬ রানে। তবে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন ৮১ রানে অপরাজিত থাকা তাসামুল হক। আগের দিন তিন উইকেট নেয়া তাসকিন এদিন আরো দুটি নিয়ে পুরণ করেন পাঁচ উইকেটের কোটা। ৬৭ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়োর সেরা বোলিংও।

ওদিকে বরিশালে স্বাগতিকদের ১৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তিতে নেই রাজশাহী। দিন শেষে ১২৫ রান তুলতে তাদেরও নেই ৯ উইকেট। ৮৫ রানেই ৯ উইকেট হারায় জহুরুল হকের দল। কিন্তু মুক্তার আলীর ব্যাটিং দৃড়তায় আর কোন অঘটন ছাড়াই দিন শেষ করে তারা। বল হাতে বরিশালের প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন কার্যকর।

কিন্তু কক্সবাজারে পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের সুরে কথা বলছে বৃষ্টি¯ø্যাত পিচ। ঢাকার বিপক্ষে এদিন পুরোটা সময় ব্যাট করেও মাত্র দুই উইকেট হারায় সিলেট। ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৬ রানের ব্যবধানে আউট হন দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও তৌফিক খান। দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন জাকির হাসান ও রাজিন সালেহ। অবিচ্ছিন্ন ১৪৭ রানের জুটিতে ৮৪ রানে ব্যাট করছেন জাকির, ৬৪ রানে রাজিন সালেহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (৩য় দিন শেষে)
খুলনা-রংপুর, খুলনা (১ম স্তর)
খুলনা : ৩০৪ ও ৪৮.৪ ওভারে ১৮১/৫ (রবি ২০, এনামুল ৭, সৌম্য ৭১, তুষার ৬৩*; সাজেদুল ১/২২, রবিউল ১/২৯, সঞ্জিত ১/৫১, মাহমুদুল ২/১৮)।
রংপুর ১ম ইনিংস : (দ্বিতীয় দিন শেষে ২০০/৪) ১১৪ ওভারে ৩১৫ (জাভেদ ৬৪, মারুফ ৩০, মাহমুদুল ১৫, শুভ ৪৮, নাঈম ৩০, তানবীর ৬৭*, সাজেদুল ২৯; আল আমিন ৪/৬৭, সৌম্য ৫/৬১, রাজ্জাক ০/৫০, বিশ্বনাথ ১/৫১)।
বরিশাল-রাজশাহী, বরিশাল (১ম স্তর)
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৪৬ ওভারে ১৩৩ (নাফিস ১৬, আল-আমিন ৩১, নুরুজ্জামান ৩৮; ফরহাদ রেজা ৪/৩০, মুক্তার ২/৩১, তাইজুল ২/৪২, সানজামুল ০/২৫)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৩৮ ওভারে ১২৫/৯ (মিজানুর ৬, সাব্বির ৩১, ফরহাদ রেজা ১১, সানজামুল ১৪, মুক্তার ৩৫*; রাব্বি ২/৪৫, সোহাগ গাজি ৩/১৯, তানভির ২/৩৮, মনির ২/১৫)।
ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম, বগুড়া (২য় স্তর)
ঢাকা মেট্রো : ২৮৭ ও ৭০ ওভারে ১৯১/৬ (সাদমান ৬২, আশরাফুল ২৩, মেহরাব জুনিয়র ২৬, সৈকত ৪০, শামসুর ৩১*; নাঈম ৫/৯৯, শাখাওয়াত ১/৬৭)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৮৭/৬) ৯২ ওভারে ২৩৬ (মুমিনুল ৩৪, ইয়াসির ২৯, তাসামুল ১১৬, রানা ২৬; তাসকিন ৫/৬৭, শহিদুল ২/৫৬, আশরাফুল ১/৩০, সানি ২/৫৩)।
সিলেট-ঢাকা, কক্সবাজার (২য় স্তর)
সিলেট ১ম ইনিংস : ৮৪ ওভারে ২২৯/২ (ইমতিয়াজ ৪১, তৌফিক ৩৫, জাকির ৮৪*, রাজিন ৬৪*; শুভাগত ১/৬৬, তাইবুর ১/৪৬)।