অভয়নগরে পায়রা ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজনে ট্যাগ অফিসারের অবহেলায় অনিয়মের অভিযোগ

0
251

অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের লক্ষে গৃহীত ৪০ দিনের কর্ম সৃজন ( ইজিপিপি’র ) কাজে সংশ্লিষ্ট দেখভাল কর্মকর্তা (ট্যাগ) অফিসারের অবহেলায় ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিষ্ণু কুমার দত্ত ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুর রহমান যোগসাজসে এ অনিয়ম করে হচ্ছে। তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, কর্মসূচীর কাজ না করিয়ে সংশ্লিষ্ট মেম্বার মাহাবুর রহমান তার নিজ বাড়ি দিঘলিয়া গ্রামে নারী শ্রমিক কহিনুর বেগম ও মর্জিনা খাতুন কে গরুর গোবর দিয়ে বড়ে (ঘুটে) তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন মেম্বারের স্ত্রী। ওই গ্রামে মুকুন্দ মন্ডলের বাড়ীর কাছে যেয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে ১৮ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও সরোজমিনে ৭ জন শ্রমিক কাজ করছে। উপস্থিত শ্রমিকেরা জানায়, প্রতি দিন ১০জন লোক কাজে আসে। বাকী ৮জন শ্রমিকের হাজিরার টাকা চেয়ারম্যার আর মেম্বার মিলে ভুয়া নাম দেখিয়ে আত্মসাত করে। স্থানীয়রা বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারেরা টাকা মেরে খাচ্ছে। কেউ দেখার নেই। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়াম্যান বিষ্ণ পদ দত্ত বলেন, আমি ওই প্রকল্পে কাজের জন্য একজন শ্রমিকের জন্য সুপারিশ করেছিলাম। সে কাজে যায় কী না তা আমার জানা নেই। ইউপি মেম্বর মাহাবুর রহমান বলেন, আমি ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মিলে দুইজন শ্রমিকের হাজিরার টাকা তুলে নেই। তিনি বলেন আমি ওপরের অনুমতি নিয়ে গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে সোহাগ নামে ও মহিলা মেম্বর মজিদা বেগম তার পুত্র বধূর নাম দিয়ে পারিশ্রমিকের টাকা তুলে নেয়। এ ব্যপারে তিনি যুক্তি দেখান, অফিসে নানা ধরনের খরচ হয় তাই এভাবে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ওই প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ট্যাগ অফিসার) সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান বলেন, দীঘলিয়া গ্রামে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এটা আমার জানা নেই। শ্রমিক হাজিরা খাতায় আপনার সহি আছে এ প্রশ্ন করলে তিনি জানান, কোন এক দিন গিয়েছিলাম সেই সহি থাকতে পারে।