অভয়নগরের নুর আলী মেম্বর হত্যায় সন্দেহভাজন ৩ আসামী গ্রেপ্তার

0
236
????????????????????????????????????

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরে নূর আলী মেম্বর হত্যা মামলার ৩ আসামীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানী) এর একটি আভিযানিক দল। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশিয় তৈরি পাইপগান, ৫ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ এবং ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানী) শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন রানাগাতী গ্রাম এলাকায় জনৈক মহির আকুঞ্জীর বসত বাড়ী থেকে একাধিক মামলার পলাতক আসামী মিজানুর রহমান আকুঞ্জী এবং নুর আলী মেম্বর হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। আটককৃতরা হলেন রানাগাতী গ্রামের আবছার আকুঞ্জীর ছেলে মিজানুর রহমান আকুঞ্জী (২৬), শুভরাড়া গ্রামের আঃ মজিদ গাজীর ছেলে মোঃ সোহাহ গাজী (২২) ও মোঃ মিজান হাজী (২৬)। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা নুর আলী মেম্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামী মিজানুর রহমান নিজেও নুর আলী মেম্বরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে ছিল। এছাড়াও তারা হত্যাকান্ড সম্পর্কে আরো অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু ও হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ সন্ধ্যার পর নূর আলী মেম্বার যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন বাবুর হাট বাজার হতে ছেলের মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে তারা বাবুরহাট বাজারস্থ মাতৃ মন্দির এর পিছনের রাস্তায় পৌঁছা মাত্র আনুমানিক ১২ থেকে ১৪ জন এর একটি সন্ত্রাসী দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। মোটর সাইকেল থামা মাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নূর আরী মেম্বর মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং তার ছেলে মোঃ ইব্রাহিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে, এতে করে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। অতপর সন্ত্রাসীরা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মৃত নূর আলী মেম্বর ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি এলাকার সকল সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। এ চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতারের জন্য এলাকার সর্বস্তরের জনগণ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল।