অভিযোগের শেষ নেই কুলিয়া ভূমি কর্মকর্তার- ইউএনও বরাবর দুই দরখাস্ত

0
209

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই।ইউএনও’র বরাবর দুই দরখাস্ত জমা। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ গ্রহন, চাহিদা মত টাকা না পেয়ে তালবাহানা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর কুলিয়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভরত চন্দ্র মন্ডলের একটি লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের নিকট জমির খাজনা দিতে যান ঐ শিক্ষক। কিন্তু ৫১১০ ও ৫১৩২ দাগের খাজনা না নিয়ে দিনের পর দিন তালবাহানা করছেন। তিনি একাধীক বার ভূমি অফিসে গেলেও তার খাজনার কাটা গ্রহন করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। ঐ ৫১১০ দাগে ৪৯ টি এস.এ খতিয়ানে ১৬৩.৮০ একর জমির মধ্যে ৬৩. এস.এ খতিয়ানে ৪.২৪ একর এবং ৬৬নং এস.এ খতিয়ানে ৪.০০ জমি “ক” তালিকা ভূক্ত। এছাড়া ৫১.৩২ দাগে ২৩ টি এস.এ খতিয়ানে ৬৫.০০ একর জমির মধ্যে ১৯৭ নং এস.এ খতিয়ানটি “ক” তালিকা ভূক্ত থাকায় উক্ত দুটি দাগের কোন খাজনা নিচ্ছেনা ঐ কর্মকর্তা। এছাড়া ২৩ ডিসেম্বর কুলিয়ার আমিনুর রহমান কর্তৃক আরো একটি লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সরকারি স্বার্থ বিরোধী। সরকারি ভিপি “ক” তালিকায় জমি দাখিলা কাটা পূর্বের তথ্য ছাড়া নবায়ন করছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। নামত্র রাজস্ব দেখিয়ে দাখিলা কাটা, ভূয়া ডিগ্রির মাধ্যমে রেকার্ডকৃত জমির দাখিলা কেটে অবৈধ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়া টাকার বিনিময়ে তার পোষ্য দালালের মাধ্যমে অফিস টাইম ও সরকারি ছুটির দিনে হর-হামেশায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রামনগর মৌজায় নতুন খতিয়ান নং- ৩৮৫.৪১.৪০০ জমির পরিমান আনুমানিক ৩২ একর যা সরকারি ভিপি “ক” তালিকা ভূক্ত। বালিথা মৌজায় নতুন খতিয়ান ৪৯৮ জমির পরিমান প্রায় ২একর পুরাতন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নামাত্র সরকারি অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়া বহেরা মৌজায় নতুন ৪৯১.৭৮৫.৫৪৪.৫১৫.৪৮৩.২৩২৪.১৪৩০ নম্বর খতিয়ানে প্রায় ২০ একর জমির পূর্ব তথ্য ছাড়াই নতুন খাজনা আদায় দেখিয়েছেন। জগন্নাথপুর মৌজায় ৪৪০ নং খতিয়ানে ৩ তলা পোল্ট্রি ফাম থাকলেও তা কৃষি শ্রেণিতে খাজনা আদায় করছে। অপরদিকে ৪৫৭ খতিয়ানে পূর্ব তথ্য ছাড়া ৫৮২ নং খতিয়ানে সরকারি ভিপি “ক” তালিকা ভূক্ত থাকায় সম্পত্তি থেকে অবৈধ অর্থ আতœসাৎ করে চলেছেন। নামপত্তন রিপোর্ট দিতে হলে যোগাতে হয় মোটা অংকের টাকা। কমদিলে কেস খারিজ করার হুমকিও দেন শেখ আব্দুস সোবহান। অভিযোগে আরো আরো উল্লেখ কার হয়েছে, ঐ কর্মকর্তা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে নিজের পকেট ভারী করছেন। তার এ কাজে সহযোগী হিসাবে রয়েছে অনেক প্রতারক। আর এতে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চলমান হয়রানী, দূর্নীতি ও অর্থবানিজ্যের প্রতিকার এবং অভিযুক্ত ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে এপর্যন্ত এধরনের বহু অভিযোগ পেয়েছি। ইতোপূর্বে তাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আবারো তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।