অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে ডায়াগনস্টিক কর্মী তানিয়া আক্তার

0
653

সুব্র ঢালী, রামপাল: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ৫ দিন মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যে ৭ টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। নিহত ডায়াগনস্টিক কর্মী তানিয়া আক্তার (২২) রামপাল উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের ইউছুব আলীর কন্যা। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার (১৫জানুয়ারী) তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিলো। এ ব্যাপারে তার পিতা ইউসুব আলী বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০৭।
নিহতের পারিবার এবং মামলার বিবরন থেকে জানাগেছে, ২০১৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারের সুন্দরবন ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিষ্ট তানিয়া ওই ডায়গনিস্টিক সেন্টারে কর্মরত বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার রনজিতপুর গ্রামের অরবিন্দু দাসের পুত্র প্রদীপ দাসের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নিখোঁজ হয়। তারপর অনেক খোঁজাখুজির পরও তানিয়াকে তার পরিবার উদ্ধার করতে পারেনি। গত ১৫ জানুয়ারী প্রদীপ দাস ভোরে তানিয়াকে ফেরত নিতে রুপসা ব্রীজ এলাকায় ডেকে নেয়। এ সময় তানিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় একটি ইজি বাইকে ফেলে রেখে প্রদীপ দাস পালিয়ে যায়। অচেতন অবস্থায় তানিয়া-কে উদ্ধার করার পর প্রথমে খুলনার ১টি বেসরকারী হাসপাতালে এবং পরদিন ১৬জানুয়ারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইদিন ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। নিহত তানিয়া আক্তারের একটি ১টি কন্যা সন্তান আছে। যে কন্যা সন্তানটি বর্তমানে প্রতারক প্রদীপ এর পিতা অরবিন্দু দাশ ও মাতা শান্তি রানী দাশের কাছে রয়েছে। আসামী প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্নজনের সাথে প্রতারনা করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে আসামী প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে “রামপালে বহুরুপী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে প্রতারনার অভিযোগ” শিরোনামে একাধিক পত্রপত্রিকায় তার প্রতারনার সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সে রামপাল থেকে চম্পট দেয়। এ ব্যাপারে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান , তানিয়ার পিতা রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামী প্রদীপ দাশকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।