পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় ইন্সপেক্টর জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের সভাপতিত্বে “কমিউনিটি পুলিশিং ডে” ২০১৭ উদযাপনের সার্বিক কার্যক্রম সংক্রান্তে এক সভা গত ৯ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটে ২০১৭ সাল হতে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল পুলিশ ইউনিটের সাথে একাত্ব ঘোষনা করে আগামী ২৮শে অক্টোবর দিনটি উদযাপন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টা হতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিববাড়ী মোড় থেকে সার্কিট হাউজ ময়দান পর্যন্ত র্যালী, সাড়ে ১০টা হতে বারোটা পর্যন্ত আলোচনা সভা ও সন্মাননা প্রদান, বারোটা হতে দেড়টা পর্যন্ত সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকাল ৩টা হতে ৫টা পর্যন্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোল্ডকাপ কাবাডি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল খেলা। উল্লেখিত অনুষ্ঠানমালা খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
পটভুমি t
সমাজ বিবর্তন ও বিশ্বায়নের সাথে সাথে অপরাধের প্রকৃতি ও অপরাধ সংঘটন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত প্ররিবর্তিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পুলিশি সেবা জনগনের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া এবং অপরাধ দমন, উদঘাটন এবং সামাজিক সমস্যাসহ সমাজের নানাবিধ সমস্যা সমাধান করতঃএকটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে কমিউনিটি পুলিশিং অত্যন্ত কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।
পুলিশ ও জনসাধারণের পারস্পরিক সহযোগিতাই কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মূল চালিকা শক্তি। আধুনিক এ দর্শন জনগনকে পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত করে প্রাণবন্ত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অংশীদারিত্ব এবং জনগনের প্রত্যাশা ও মতামতের ভিত্তিতে জনগনের সেবা নিশ্চিত করে।
কমিউনিটি পুলিশিং একটি গণমুখী(Community Oriented), নিবারণমূলক(Proactive) এবং সমস্যার সমাধানমূলক(Problem Solving), পুলিশী ব্যবস্থা ও দর্শন (Philosophy) যা জনগনকে সম্পৃক্ত করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এ আধুনিক পুলিশী দর্শন, পুলিশী কার্যক্রমে নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসরত জনগনের সক্রিয় অংশগ্রহনকে উৎসাহিত করে। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল জেলায় ও প্রতিটি থানায় কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু আছে এবং প্রতিটি থানায় কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার রয়েছে। সমগ্র দেশে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি কার্যকর রয়েছে যাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ,সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা হয়েছে।জনগনের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য এ বছর অর্থ্যৎ ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার “কমিউনিটি পুলিশিং ডে” পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিউনিটি পুলিশিং কি?
কোন ভৌগলিক এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে সাধারণ অর্থে কমিউনিটি বলে। বৃহৎ অর্থে কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও কমিউনিটির অন্তর্ভুক্ত। কমিউনিটি পুলিশিং অর্থ কমিউনিটি কর্তৃক পরিচালিত পুলিশী ব্যবস্থা (Community driven policing system)। অন্য ভাষায় বলা যায়, কোন নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকায় অপরাধ দমন ও অপরাধ উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশ ও ঐ এলাকার জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহিৃত করে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ঘাটন ও বাস্তবায়নের পদ্ধতিই কমিউনিটি পুলিশিং।
সরকারের বিধিবদ্ধ যে সংস্থাটি অপরাধ দমন, অপরাধ উদ্ঘাটন, বিচারের জন্য অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সর্বোপরি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করে তাকেই প্রধান আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলে। পুলিশই মূলতঃ মৌলিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। যুগের বিবর্তনে পুলিশের সাংগঠনিক ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রেরও বিবর্তন এসেছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট পিল আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থারও জনক। তিনি সনাতনী পুলিশিং ব্যবস্থাকে গণমুখী (community oriented) পুলিশিং ব্যবস্থায় রূপান্তরের পক্ষে দর্শন দিয়েছেন। তার আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থার মুল কথা হল, “পুলিশই জনতা এবং জনতাই পুলিশ” (The police are public and the public are police)। অর্থাৎ জনগণের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যাদি যা থেকে অপরাধ সৃষ্টি হয় তা সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।‘কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ, সরকার ও পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও সমস্যার সমাধানকল্পে অপরাধের কারণ দূরীকরণ, অপরাধ ভীতি হ্রাস ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়’।
কমিউনিটি পুলিশিং এর ক্ষেত্র /কার্যক্রম
১। অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণসচেতনা সৃষ্টি করা। সভা, সেমিনার, মতবিনিময়, র্যালি, লিফলেট, পোস্টার ও নানামুখী প্রচারণার মাধ্যমে অপরাধ বিরোধী জনমত ও গণসচেতনতা তৈরী করা যায়।
২। জনসম্মুখে বা প্রকাশ্যে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করতে পারেন।
৩। অপরাধ পরিস্থিতির নিয়মিত পর্যালোচনা করে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির করণীয় সম্বন্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।
৪। ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, গরু চুরি ইত্যাদি অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের পরামর্শ ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
৫। অপরাধীদের উপস্থিতি, গোপন আস্তনা এবং অপরাধীদের অপরাধ কার্যাবলী বা অপরাধ সংঘটনের প্রস্তুতি ইত্যাদি সম্পর্কে গোপনে পুলিশকে সংবাদ দিতে পারেন।
৬। মাদকদ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও অপব্যবহার রোধে মাদক বিরোধী প্রচারনা এবং অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এলাকাকে মাদকমুক্ত করার কর্মসূচী নিতে পারেন।
৭। চোরাচালান, খাদ্যে ভেজাল এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচী নেয়া যায়।
৮।কিশোর অপরাধ, বখাটে ছেলেদের উৎপাত, স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রী ও যুবতী মেয়েদের রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করা বন্ধ করার জন্য বখাটেদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবক ও সমাজের মুরব্বীদের দ্বারা চাপ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এ সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধানের কর্মসূচী গ্রহণ করা যায়।
৯। অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচী গ্রহণ এবং এইডস, অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ সম্পর্ক এবং জনসংখ্যা বিস্ফোরণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারেন।
১০। ছোট-খাট অধর্তব্য অপরাধ যেমন-পারিবারিক বিরোধ, দাস্পত্য কলহ, জমি-জমা বা আর্থিক লেন-দেন সংক্রান্তে অভিযোগ, বিভিন্ন সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা দলের মধ্যে বিবাদ ইত্যাদি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসা করার দায়িত্ব নেয়া যায় এবং মীমাংসার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে পারেন।
১১। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, শিশু শ্রম, নারী ও শিশু পাচার ও নারীর প্রতি বৈষম্য, বাল্য বিবাহ, যৌতুক ইত্যাদির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার কর্মসূচী নেয়া যায়।
১২। ধর্মীয় গোঁড়ামী বা অপব্যাখ্যা, বিতর্কিত ফতোয়া, হিল্লা বিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামী শিক্ষায় পন্ডিত ব্যক্তিদের সহায়তায় জনমত সৃষ্টি করা যায়।
১৩। সমাজের কোন সমস্যা যা জনগণকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং জনগণের মধ্যে উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে সে সকল সমস্যার কারণ চিহিৃত করে পুলিশ ও জনগণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৪। সকল প্রকার সামাজিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা যায়।
১৫। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দৈব দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে এসে সাহায্য সহযোগিতা ও সেবা প্রদানের কর্মসূচী রাখা যায়।
১৬। এলাকায় অপরাধ বৃদ্ধি পেলে কমিউনিটির উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে নৈশকালীন এবং ক্ষেত্রমতে দিবা প্রহরার জন্য প্রহরী নিয়োগ করে পেট্রোল স্কীম চালু করা যায়। এ সকল প্রহরী বা পেট্রোল ম্যান কমিউনিটি পুলিশিং এর দৃশ্যমান সেবা প্রদান অঙ্গ হিসেবে জনগণের সাথে কাজ করবেন। তাদেরকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও ব্যবহার করা যায়।
১৭। বৃদ্ধ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি সমাজ ও আত্মীয়-স্বজনের কর্তব্য সম্বদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, উদ্বুদ্ধকরণ এবং তাদের কল্যাণার্থে কর্মসূচী গ্রহণ।
১৮। কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশু অধিকার ও শিশুর প্রতি পিতা-মাতা, পরিবারের সদস্য ও সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে শিক্ষা কর্মসূচী গ্রহণ।
১৯। গণমাধ্যমের সাথে পুলিশের সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মসূচী গ্রহণ।
২০। মামলার বাদী, সাক্ষী ও ভিকটিমকে বিশেষ আইনী সহায়তা, ভীতি দূর করে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি এবং মনস্তাত্বিক সহায়তা দানের লক্ষ্যে প্রকল্প নেয়া যেতে পারে।
২১। মিথ্যা মামলা এবং নিরীহ লোককে হয়রানী করার ক্ষতিকর দিক সম্বদ্ধে জনগণকে সচেতন করা ও তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া।
২২। কোন দরিদ্র লোক মামলায় জড়িয়ে গেলে তাকে আইনী সহায়তা প্রদান।
২৩। বিবিধ কর্মসূচী যা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি জনস্বার্থ বলে বিবেচনা করবেন।
২৪। জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখা।
২৫। বাড়ি ভাড়ার তথ্য প্রদানে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের উৎসাহিত করতে পারে।
কমিউনিটি পুলিশিং এর আইনগত ভিত্তি
কোন অধ্যাদেশ বা আইনের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশের উদ্ভাবন না হলেও প্রচলিত আইনে স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রমে কোন বাঁধা নেই। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২,৪৩,৪৪, ও ৪৫ ধারা মোতাবেক জনসাধারণের কতিপয় ক্ষেত্রে পুলিশকে সহায়তা করার বাধ্যবাধকতা আছে। পুলিশ রেগুলেশনের ৩২ প্রবিধি মোতাবেক জনসাধারণের প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পুলিশি কাজে সহায়তা চাওয়ার বিধান আছে।
ওসি খুলনা | 01713-373285 |
ওসি সোনাডাঙ্গা | 01713-373286 |
ওসি লবনচরা | 01769-690921 |
ওসি হরিণটানা | 01769-690922 |
ওসি খালিশপুর | 01713-373292 |
ওসি দৌলতপুর | 01713-373293 |
ওসি আড়ংঘাটা | 01769-690923 |
ওসি খানজাহান আলী | 01713-373294 |
পুলিশ কন্ট্রোল রুম | |
12(যে কোন ল্যান্ড ফোন থেকে)
01550-150099,01558-328300 041-812564-5 |
পুলিশ ও অন্যান্য জরুরী সেবা প্রদানকারী সংস্থার ফোন নম্বর আপনার ও আপনার পরিবারের সবার মোবাইলে এখনই সেভ করে রাখুন। প্রয়োজনের সময় এই নম্বরগুলো আপনাকে বিপদমুক্ত করতে পারবে।
“পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ”
|
Òকমিউনিটি পুলিশিং ডে”-২০১৭
|
|||