টাইমস্ ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান ২০১০ সালে সারা দেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত মেয়াদে (২০০৯-২০১৮) দেশের ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪০টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে একনেকে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার কার্যক্রম চলমান। দ্বিতীয় প্রকল্পটির আওতায় সর্বমোট পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক অনুমোদন জারি করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে কর্মরতদের মধ্যে কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা রয়েছে। এসব শিক্ষকের বদলি/পদায়নের কার্যক্রম চলছে।
নাহিদ বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে গঠিত মনিটরিং কমিটির তৎপরতায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোচিং বাণিজ্য জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।