আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০১ হতে ২০০৬ সালের দু:শাসন ’৭১-এর অত্যাচার নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনে পাক বাহিনীর শাসকরাও লজ্জা পেয়েছিলো। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাক বাহিনীর উত্তরসূরী হয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করেছিলো। তাদের এই নির্যাতনে বিশ্ববাসি আতংকিত হয়ে মানবতার পাশে এসে দাড়িয়েছিলো। সেকারনেই তারা আজ অনিয়ম-দূর্ণীতির কারনে বিচারের কাঠগড়ায়। এদেশে উন্নয়ন করতে হলে সকল অত্যাচারী, নির্যাতনকারী, দূর্ণীতিবাজের বিচার হবে। কেউ বিচারের বাইরে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত করে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্যে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম কুটু’র ১৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক-এর সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজমল আহমেদ তপন, এমডিএ বাবুল রানা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রজব আলী সরদার, শ্যামল সিংহ রায়, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা লুৎফা, রনজিত কুমার ঘোষ, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, শাহ মো. জাকিউর রহমান জাকির, সাব্বির হোসেন শুভ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. সাহেব আলী, চ.ম মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ মো. ফারুক হোসেন, গাজী মোশাররফ হোসেন, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মহাসিনুর রহমান আফরোজ, মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, নাসরিন কাকলী, মাজেদা বেগম, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মোয়াজ্জেম হোসেন, শফিকুর রহমান পলাশ, পল্লব কুমার, মৃধা হুমায়ূন কবীর, নূরীনা রহমান বিউটি, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, ফেরদৌসী আলম রিতা, শবনম মোস্তারি বকুল, সরনী ইসলাম সুইটি, মিনু আহমেদ, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ হারুন মানু, মো. রিয়াজ হোসেন, জাফর আহমেদ রাজা, হাফেজ আবু দাউদ, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম খোকন, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, লুৎফর রহমান, আশরাফুল হক মিলন, টুটুল ইসলাম, সোহেল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান বাবু, রনবীর বাড়ৈ সজল, মাহমুদুল হাসান শাওন, শেখ মোহাম্মদ, স. ম. হেলালুজ্জামান, আলিমুল জিয়া, সোহান হোসেন শাওন, শাহমুদুর রহমান রাজেশ, শাহীন আলম, জহির আব্বাস, মশিউর রহমান বাদশা, চয়ন বালাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে মরহুমের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কয়লাঘাট থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। দলীয় কার্যালয়ে অস্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বাদ জোহর ট্যাংক রোড জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।