স্পোর্টস ডেস্কঃ
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা! তার পরেই শুরু দগ্রেটেস্ট শো অন আর্থদ। বিশ্বকাপ ফুটবল। এক মাস সারা পৃথিবীকে এক সুরে বেঁধে রাখবে সেই এক খেলা। সারা বিশ্ব জুড়ে কয়েক কোটি মানুষ টিভির পর্দাতেই রোনালদো, মেসি, নেইমারদের পায়ের জাদুতে মগ্ন হবেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এসে গেল ফুটবল বিশ্বকাপের মৌসুম। দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মাসকট ‘জাভিবাকা’।
প্রায় শতবর্ষের কাছাকাছি চলে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে? ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসই বা কী ছিল? বিশ্বকাপের আগের আসরগুলো কেমন ছিল? রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে এ প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে।
তাদের জন্য রাইজিংবিড’র বিশেষ আয়োজন ‘‘ফিরে দেখা বিশ্বকাপ’’। ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হবে বিশ্বকাপের আগের ২০টি আসর। আজ প্রকাশ করা হলো ষোড়শ পর্ব :
১৯৯৮ বিশ্বকাপ: ফ্রান্স টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মুকুট পরে তারা। ফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। ঘরের মাঠে রাজা ফ্রান্স।
২৪ দল থেকে বেড়ে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ৩২ দল নিয়ে। তাইতো ১৯৯৮ বিশ্বকাপ বা বিশ্বকাপের ষোড়শ আসর আলোড়ন ছড়ায় সবচেয়ে বেশি। ১০ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বকাপ বসে ফ্রান্সে। দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্স বিশ্বকাপের আয়োজন করে এবং ৬০ বছর পর বিশ্বকাপের আয়োজন করে তারা।
১৯৯৬ সালের মার্চ থেকে শুরু করে ১৯৯৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩২ দলকে চূড়ান্ত করে ফিফা। আট গ্রুপে ৩২ দলকে ভাগ করা হয়। বিশ্বকাপে মোট ৬৪টি ম্যাচ খেলা হয় ফ্রান্সের ১০টি স্টেডিয়ামে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেবার সবচেয়ে উত্তাপ ছড়ায় ইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনার ম্যাচ। আসরের ফেবারিট দল দুটির ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডেভিড বেকহাম। বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম সেরার তকমা পাওয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত আলবিসেলেস্তেরা জয় পায় পেনাল্টি শুটআউটে।
সেবার বিশ্বকাপে আর্বিভাব হয় ব্রাজিলের রোনালদোর। গোলের পর গোল করে রোনালদো ব্রাজিলকে তোলেন ফাইনালে। কিন্তু ফাইনালের আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রোনালদো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপও হওয়ার কথা ছিল রোনালদোর। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বলটা জিতেছিলেন। অসুস্থতা নিয়ে ফাইনাল খেললেও আলো ছড়াতে পারেননি এ কিংবদন্তি। সেবার পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নিজেদের প্রথম আসরেই সেমিতে জায়গা করে নেয় ক্রোয়েশিয়া। যার পুরো কৃতিত্ব একজন, দেভর সুকেরের। ৬ গোল করে যিনি হয়েছিলেন টপ স্কোরার।
কিন্তু সবচেয়ে আলো ছড়ান ফ্রান্সের রাজপুত্র জিনেদিন জিদান। ফাইনালে জিদান-জাদুতে ফরাসিরা দাঁড়াতেই দেয়নি সেলেসাওদের। জুভেন্টাসে দারুণ মৌসুম কাটিয়ে বিশ্বকাপে নেমেছিলেন জিদান। টুর্নামেন্টে আগের ম্যাচগুলোতে গোল করতে না পারলেও ফাইনালে নিজের কারিশমা দেখিয়েছিলেন জিদান। ২৭ ও ৪৬ মিনিটে গোল করে জিদান স্তব্ধ করে দেন ব্রাজিল দলকে। আর ফ্রান্স মেতে উঠে আনন্দ উৎসবে।