টাইমস ডেস্ক :
প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এই দিবস ঘোষণার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশ এখন আইসিটি ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর। আমাদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ডেনসিটি অনেক বেশি। সারা বিশ্বের হিসেবে ব্যবহারকারীর সংখ্যায় হয়তো দেখা যাবে আমরা সাত বা আট নম্বরে থাকব। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে কনসেপ্ট, এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করছি এবং কাজ করছি। এটা স্মরণীয় করার জন্য ১২ ডিসেম্বরকে ন্যাশনাল আইসিটি ডে হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
বর্তমানে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ধারণা হাজির করে। এ কারণে ওই দিনটি ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য বেছে নেয়ার কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘খ’ ক্যাটাগরির দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মূলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো হয় ‘ক’ ক্যাটাগরির।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়। সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে।
মন্ত্রিসভা ওই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন পলক।
মানবকণ্ঠ/এসএস