মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা, খুলনা টাইমস:
সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকার ও জরুরী অবস্থার সহায়-সম্বল হারানো মোংলা পৌর শহরের ব্যবসায়ীরা ফেরৎ পেলেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত প্লট। ওই সময় ভেঙ্গে ও গুড়িয়ে দেয়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত ১৫২টি প্ল¬ট দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর স্ব-স্ব মালিকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের মুখে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ জুলফিকার আলীর যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এসব ব্যবসায়ীদের তাদের প্লট নতুন করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। রোববার দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় সাংসদ, বন্দর চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের প্লট পরিদর্শনসহ স্ব স্ব প্লট বুঝিয়ে দেয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ফলে দীর্ঘ দিন পর ব্যবসায়ীরা তাদের প্ল¬ট বুঝে পেতে যাওয়ায় বন্দর শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্ল¬ট বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ২০০৭ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত ১শ ৫২টি প্ল¬ট অবৈধ বলে ভেঙ্গে দেয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া বরাদ্দ অবৈধ এবং জায়গার মুল মালিক মোংলা উপজেলা ভূমি অফিস ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বলে তৎকালীন সময়ে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবী করে প্লটগুলোর যাবতীয় স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। একই জায়গা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা ভ’মি প্রশাসন এই দুই প্রতিষ্ঠানের দাবীর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট জটিলতার কারণেই ওই সময় মুলত প্ল¬টগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। এরপর ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে উচ্চ আদালতে পৃথকভাবে একাধিক মামলা দায়ের করেন। এতে মামলায় জড়িয়ে পড়েন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়) ও ভূমি মন্ত্রনালয়। মামলা চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিষয়টি সুরহার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক উদ্যোগী হন। এতে উভয় মন্ত্রনালয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেককে দায়িত্ব দেন। এরপর সাংসদ তালুকদার আব্দুল খালেক, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ জুলফিকার আলীর প্রচেষ্টার কারণের দীর্ঘ ১০ বছর পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছেন। রোববার দুপুরে সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসান, পরিচালক (প্রশাসন) লে: কমান্ডার আনোয়ার হোসেন ও সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তারা ও পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর সরেজমিন উপস্থিতিতে বৈধ কাগজপত্র দেখে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে কয়েকজনকে তাদের জায়গা নতুন করে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও ভূমি মন্ত্রনালয় রেজুলেশনের মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। তার উপস্থিতিতেই আমরা বৈধ চুক্তিনামা ও কাগজপত্র দেখে পর্যায়ক্রমে প্ল¬টগুলো স্ব-স্ব মালিকদের বুঝিয়ে দিবো। #