ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ সভাপতি কর্তৃক সাধারন সম্পাদককে বহিস্কার ঘটনার পাল্টা শাস্তিমুলক ব্যাবস্থার দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঔক্য পরিষদের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শ্রী উজ্জল অধিকারী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব বরাবর দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, সংগঠনের সংবিধানের ৭ এর (গ) ধারা মতে জেলা কমিটি ব্যতিত উপজেলা সংগঠনের সভাপতি কখনও তার কমিটির সাধারন সম্পাদককে বহিস্কার তো দুরের কথা কারন দর্শানো নোটিশও দিতে পারেনা। তাই এমন ঘটনাটি একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার।
বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঔক্য পরিষদ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সহ পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ হেনরী প্রদীপ বৈদ্য, তরুন কুমার মিত্র, সাধন পাল ও কোষাধাক্ষ ইন্দ্রজিত বিশ^াস স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সভাপতি তিথি রানী ভদ্র সংগঠনের সংবিধান বহির্ভূত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্পাদককে বহিস্কার করে এক মানসিক বৈকল্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বরের একটি তুচ্ছ মিথ্যা বানোয়াট ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৮ সেপ্টেম্বর সভাপতি কর্তৃক সম্পাদককে বহিস্কার করা হয়। যাহা সংগঠনের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্ষ্যকরী কমিটির ৭০ জন সদস্যই অবগত নহে। সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক উজ্জল অধিকারী তার স্ব-পদে এখনো বহাল আছে দাবী করে জানান, সভাপতি তিথি রানী তার সুনাম ও মর্ষাদা ক্ষুন্ন সহ সংগঠনটির ঔক্য ধবংশ করার জন্য অসাংবিধানিক কর্মকান্ড করে চলেছে। সভাপতির এমন কর্মকান্ডের অপরাধে শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য তারা সংগঠনের উর্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়েছেন।
পাল্টা বিবৃতির বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি তিথি রানী ভদ্র গঠনতন্ত্রে স্ব কমিটির সম্পাদককে বহিস্কারের নিয়ম নেই স্বীকার করে বলেন, অপকর্মের দায়ে সম্পাদককে ইতিপূর্বেও একবার বহিস্কার করা হয়েছিল। এবং পরে শর্ত দিয়ে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এবং সে সময়ে সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু কনক কান্তি দাস তিথি রানীকে মৌখিক নির্দ্দেশ দিয়েছিলেন অপকর্ম পূণরাবৃত্তি ঘটলে তাকে পূনরায় বহিস্কার করবেন। তাই তিনি সম্পাদককে বহিস্কার করেছেন।