মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা:
২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধের সহিংসতায় দেবহাটা উপজেলায় ৩টি তাজা প্রাণকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। আর এতে শহীদ হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন বাকুম এবং সখিপুর ইউনিয়নের ৪নং ¬ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ। শহীদদের ৪র্থ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আত্মার মাগফেরাত কামনা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে মঙ্গলবার পারুলিয়া বাসস্টান্ডস্থ শহীদ আবু রায়হান চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুনসুর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড ওসমান গনি (পিপি), উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, জেলা যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মাবুদ গাজী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসাদের ডেপুটি কমান্ডর আলহাজ্ব ইয়াসিন আলী, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামসেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক আনারুল হক ও আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজয় ঘোষ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নুর আমিনসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্বরণসভায় বক্তরা বলেন, ৭১ এর পরাজীত শক্তি দেশকে ধ্বংশলীলায় পরিণত করতে ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবির বাহিনী সারাদেশ ব্যাপী অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে জয়লাভ করে কঠোর হস্তে দমন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে স্বক্ষম হয়েছে। সাথে সাথে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে চলেছে। কিন্তু বর্তমানে ১৩ সালের সেই অপশক্তি পুনরায় মাথা চাড়া দিতে যাচ্ছে। তাই দেশব্যাপী আওয়ামীলীগের নেতা কর্র্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় আনতে হবে। যারা সে সময়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন তাদের কে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সহিংসতায় শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে অনুরোধ জানান বক্তরা।