সভাপতিত্ব করেন,আয়োজন সংগঠনের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ল,কলেজের অধ্যক্ষ এড আলহাজ্ব ড. আনোয়ার হোসেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাবি’র আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ড. মুহাম্মদ ইউসুফ, আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতী শহীদুল্লাহ,মুফতী ইব্রাহিম খলিল ফারুকী,এম এ আনোয়ার শাহ,মুফতী মুক্তার হোসেন মাসুমী,মাওলানা কাজী আব্দুল জব্বার,মাওলানা তাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিল,হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক সাইফী প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশলক্ষ শহীদ পাঁচলক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম ত্যাগের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং লাল সবুজের পতাকা।মুক্তিযুদ্ধের মূলভিত্তি ছিলো সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ইহা ধর্ম তথা ইসলামি মূল্যবোধের সাথে সংঘাতপূর্ণ নয়।তথাপিও কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী মানবতাবিরোধী চক্র সেইদিন স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থনা নিয়ে পিস কমিটির দ্বারায় রাজাকার,আলবদর ও আল শামস সহ বিভিন্ন গ্রুপ গঠন করে পাকি হায়নাদের সহযোগিতায় স্বাধীনতাগামী বাঙ্গালিদের উপর নানাহ মানবতাবিরোধী নৃশংস বর্ববর তাণ্ডব চালিয়েছিল। যাহা ছিল সম্পূর্ণ ইসলামপরিন্থী অপযজ্ঞ লীলা।তাদের হিংস্রতা থেকে নারী-শিশু এমনকি বৃদ্ধারাও রেহায় পায়নি।তারা স্বাধীনতাবিরোধী সম্প্রদায়কে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন এবং এ সংবাদ সম্মেলন থেকে ধিক্কার জানান।
আমরা বিশ্বাস করি শোষিত গণমানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য মানবীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইনসাফ ভিত্তিক সুশাসনের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে পৃথিবীতে শ্বাশত ইসলামের আবির্ভাব।ধর্ম ও মানবীয় সম্প্রীতি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণবিষয়।দেশ ও রাষ্ট্র সবার ধর্ম কিন্তু যারযার।অর্থাৎ যারযার ধর্ম তারতার জন্য অনুশীলনীয়।ইসলামে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ও জবরদস্তি একেবারেই নিষিদ্ধ।এছাড়াও দেশ ও মাতৃভাষা প্রেম ঈমানের অংশ।এই দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযোদ্ধ কালীন সময় দেশের বিশাল অংশ সচেতন ওলামা-মাশায়েখ স্বাধীনতার পক্ষে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে অবস্থান নিয়েছিল।বহু মাদরাসা,খানকাহ ও দরবার শরীফ মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও সার্বিকভাবে সহযোগিতা দান করেছে। আলেম-ওলামা ও পীর মাশায়েখদের মধ্যেও অনেকই মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।দেশে মুক্তিযোদ্ধা ওলামা-মাশায়েখ অনেক আছে।
মানবতাবিরোধী চক্র ইসলামের লেবাসে ধর্মকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ওলামা-পীর মাশায়েখদের কোপালে কলঙ্ক লেপন করেছে।তারই সূত্র ধরে এবং অপকর্মকে পূজী করে ধর্ম ও ওলামা-মাশায়েখ বিদ্ধেষী চক্র ওলামা মাশায়েখকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপক্ষ বলে অপপ্রচার চালিয়ে নাগরিক সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।প্রকাশ থাকে যে এ চক্রটিরও মহান মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় তাদের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ ওলামা-মাশায়েখ এ বিষয়টি নিয়ে চরমভাবে ক্ষুদ্ধ।
সর্বকালের সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগ করেছে তাদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন।এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐ চক্রটি আদা-লবন খেয়ে মাঠে নেমেছে।
জাতীয় ঐক্যের নামে দেশের গণমানুষকে বিভ্রান্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য হতাশা গোষ্ঠী এক হয়েছে।আমরা একাদশ জাতীয় সংসদকে স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত করার লক্ষে সরকারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সমূহকে মূল্যায়নে আনার জন্যও দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে দাবী করে আসছি।যাতে সংসদে সরকারি দল এবং সংসদ বিরোধী দল হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের।যারা ওলামা-মাশায়েখদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিপক্ষ বানিয়ে রাজনৈতি
ফায়দা লুটার অপচেষ্টায় লিপ্ত।তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি করছি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মত একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি জঙ্গী মৌলবাদী গোষ্ঠী স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মব্যবসায়ী নামধারী ওলামা-মাশায়েখ এক হয়েছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে।তাদের অপতৎপরতায় জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে।সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের মাদরাসা শিক্ষার্থী ইমাম-মুয়াজ্জিন,ওলামা-মাশায়েখদের সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম করার উদ্যোগ নিয়েছি ইনশাআল্লাহ।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি